গণমাধ্যম গণমানুষের কথা বলে।১৯৭১সাল অর্থাৎ স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের গণমাধ্যম অনেক সংগ্রামের সঙ্গে তার স্বাধীনতা টিকিয়ে রেখেছে।প্রিন্ট মিডিয়া ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইন মিডিয়া।আমি কবির নেওয়াজ রাজ মনে করি দেশের সকল খাতের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে একটা দেশের জাতীয় অর্থনীতির পুরোপুরিভাবে পূর্ণাঙ্গতা লাভ করে থাকে। দেশের উন্নয়নের কথা বলতে গেলেই চলে আসবে গণমাধ্যমের কথা। গণমাধ্যমের আগে উন্নয়ন বাস্তবায়নের ভাবনা গাছ লাগানোর আগে ফল চাওয়ার মতো। উন্নয়ন ও গণমাধ্যম এ দুটি শব্দের উপস্থিতি অঙ্গা অঙ্গিভাবে জড়িত। একটি অপরটি ছাড়া ভারসাম্যহীন।সার্বিক দিক বিবেচনায় আধুনিক গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। মূলত সংবাদপত্র আর সংবাদকর্মীর মাধ্যমে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা, চাহিদা, জনমত সৃষ্টি ও সমাজের ভালোমন্দের প্রতিফলন ঘটে। একজন আত্মসচেতন ও বিবেকবান সংবাদকর্মী দেশ ও জাতির জন্য পথপ্রদর্শক। মূলত সংবাদকর্মীরা মানুষের আশা-আকাংখা, চাহিদা, প্রয়োজন ও স্বপ্নকে জাগিয়ে তোলার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করেন।রাজনৈতিক সঙ্কীর্ণতার কারণে আমাদের দেশে অনেক সময় গণমাধ্যমকর্মীরা বারবার জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।ফলে তাদের জীবন-জীবিকার ক্ষেত্রে সৃষ্টি হয়েছে নানাবিধ অনিশ্চয়তা ও প্রতিকূলতা।সাধারণ নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমের কার্যকর অংশগ্রহণ ছাড়া রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। মূলত, যে দেশে প্রচার মাধ্যম স্বাধীন-শক্তিশালী সে দেশে গণতন্ত্র উন্নত এবং উন্নয়নও গতিশীল। সুশাসনও মজবুত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। এক্ষেত্রে অনগ্রসরতার কারণেই আমরা রীতিমত পশ্চাদপদ। গণমাধ্যমের বহুমাত্রিক ভূমিকা এবং গণমাধ্যম ও উন্নয়ন পারস্পরিক সম্পর্ক অত্যন্ত সুনিবিড়। এ জন্য রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে সংবাদ মাধ্যমকে বিবেচনা করা হয়। শক্তিশালী গণমাধ্যম রাষ্ট্রযন্ত্রকে সঠিকভাবে পরিচালনার চালিকাশক্তি। সংবাদপত্রের মাধ্যমে জনগণের প্রত্যাশা, অর্জন, চাহিদা, জনমত সৃষ্টি ও সমাজের ভালোমন্দ প্রতিফলিত হয়।গণমাধ্যমকে উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের প্রতিনিধি বলা চলে। মানবজীবন ও সমাজ উন্নয়নের একমাত্র মাধ্যম হলো গণমাধ্যম। গণমাধ্যম দ্বারা সমাজের বাস্তব প্রতিচ্ছবি তুলে ধরেন সাংবাদিক।নিজের স্বার্থ না দেখে গণমানুষের জন্য নিঃস্বার্থে কাজ করাই একজন নির্ভিক সংবাদকর্মীর কাজ।একমাত্র গণমাধ্যম পারে মানুষকে নতুন নতুন চিন্তা, ধারণা ও পদ্ধতি সম্পর্কে প্রতিনিয়ত তথ্য সরবরাহ করে উন্নত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে।গণমাধ্যম শুধু সরকারের ছিদ্রান্বেষণে ব্যস্ত থাকে না, বরং সুবিধাবাদী শ্রেণি পরিবেষ্টিত সরকারকে রাষ্ট্র পরিচালনায় সঠিত তথ্য দিয়ে সাহায্য করে এবং ভবিষ্যৎ করণীয় সম্পর্কে দিক নির্দেশনা দেয়। একই সাথে সরকারকে তাদের ভুল-ত্রুটি সম্পর্কে আত্মসচেতন করে তুলতে সহায়ক হয়। আর গঠনমূলক সমালোচনা তো সরকারের জন্য ইতিবাচকই হয়ে থাকে। বস্তুত, স্বাধীন গণমাধ্যম জাতীয় উন্নয়নে যে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে, তা আমাদের বিভিন্ন জাতীয় অর্জনের দিকে তাকালে বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করা যায়।তেমনি’মানুষের কল্যাণে প্রতিদিন’পত্রিকা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন এবং পেশাদারিত্ব বজায় রেখে দেশ ও দশের উন্নয়নে নিবেদিত থাকবে বলে আমার বিশ্বাস।স্বাধীন গণমাধ্যমই পারে আমাদের দেশ ও জাতিকে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কার্যকর ও উপযোগী করে গড়ে তুলতে,এজন্যই রাষ্ট্রীয় প্রধান কে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ গণমাধ্যমের প্রতি সুনজর দেওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।
লেখকঃকবির নেওয়াজ রাজ
সম্পাদক,মানুষের কল্যাণে প্রতিদিন
সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক
বিএমএসএফ,কেন্দ্রীয় কমিটি।