উজ্জ্বল রায় (নড়াইল জেলা) প্রতিনিধি:
নড়াইলে সেনা সদস্য স্বামীর সহযোগীতায়
গৃহবধুঁকে দল বেঁধে ধর্ষন ৪ জন গ্রেপ্তার। স্বামীর ইন্ধন ও সহযোগীতায় নড়াইলের কালিয়ায় এক গৃহবধুকে দলবেধে ধর্ষন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত রোববার রাতের ওই ঘটনায় সোমবার রাতে ধর্ষিতা নিজে বাদি হয়ে সেনা সদস্য স্বামী আতাউর রহমানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে কালিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ৪ ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে এবং সেনা সদস্য স্বামী আতাউর রহমানকে যশোর সেনানিবাসে হস্তান্তর করেছে।
মামলার বিবরনে জানা যায়, কালিয়া উপজেলার বিলবাউজ গ্রামের মজিবর রহমানের সেনা সদস্য ছেলে বর্তমানে যশোর সেনানিবাসে কর্মরত আতাউর রহমানের সাথে প্রায় ১০ বছর আগে ওই গৃহবধুর বিয়ে হয়। ইতিমধ্যে তাদের ঘরে জন্ম নিয়েছে ৩ টি সন্তান। কিছুদিন ধরে স্বামীর সাথে সম্পর্কের অবনতি হলে স্বামী তাকে নানাভাবে নির্যাতন করে আসছিল। এরই মধ্যে ওই গ্রামের জাফর শেখের ছেলে রিয়াজ শেখ ওই গৃহবধুকে নানা ভাবে উত্যক্ত করতে থাকে। গত রোববার রাত ২ টার দিকে রিয়াজসহ স্থানীয় ৪ যুবক ওই বাড়িতে গিয়ে গৃহবধুকে ডেকে তোলে এবং দরজা খুলতে বলে। কিন্তু গৃহবধু দরজা খুলতে রাজি না হলে তখন ধর্ষকরা তার স্বামী আতাউর রহমানকে মোবাইল ফোনে জানালে তার স্বামী গৃহবধুকে সেনানিবাস থেকে মোবাইল ফোনে দরজা খোলার নির্দেশ দিলে গৃহবধু ঘরের দরজা খুলে দেয়। এরপর ধর্ষকরা ঘরে ঢুকে ঘরে থাকা তার সন্তান ও প্রতিবেশী পারভেজ মোল্যাকে মারপিট করে ঘর থেকে বের করে দিয়ে দরজা আটকে গৃহবধুকে পালাক্রমে ধর্ষন করে ও ধর্ষন দৃশ্যের ভিডিও ধারন করে যশোরে থাকা স্বামী আতাউরের মোবাইল ফোনে পাঠায় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ওই ঘটনায় ধর্ষিতা বাদি হয়ে গত সোমবার রাতে স্বামী আতাউর রহমানসহ একই গ্রামের জাফর শেখের ছেলে রিয়াজ শেখ (২৪), ফিরোজ হোসেনের ছেলে মিল্লাত হোসেন (২৮), মৃত খোকা মোল্যার ছেলে দীন মহম্মাদ কালু (২২) ও ইমরুল মোল্যার ছেলে তালহা জোবায়ের আশিককে (২১) আসামী করে মামলা দায়ের করেছে। অপরদিকে ঘটনার পর আতাউর রহমান ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসলে স্ত্রীর দায়ের করা মামলার আসামী হওয়ার কারনে পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয়।
কালিয়া থানার ওসি সেখ কনি মিয়া বলেছেন, গৃহবধুকে ধর্ষনের ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। স্বামী আতাউরকে যশোর সেনানিবাসে হস্তান্তর করা হয়েছে।