মনোয়ার ইমাম,কলকাতা শহর থেকে:কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল কে সরাতে সুপ্রিম কোর্টে চিঠি রাজ্য বার কাউন্সিলের। সম্প্রতি পশ্চিম বাংলার সারদা ও নারদা কান্ডের প্রধান অভিযুক্ত পশ্চিম বাংলার চার মন্ত্রী সহ এক রাজ্যের আই পি এস অফিসার কে লোয়ার কোটের অন্তবর্তী জামিন মঞ্জুএরসকে নাকজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল এর অধীনে চার সদস্যদের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই সঙ্গে সি বি আই এর হেফাজতে নেওয়ার সময় পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যের আইন ও বিচারমন্ত্রী শ্রী মলয় ঘটক এবং তৃনমূল দলের সংসদ সদস্য শ্রী কল্যাণ ব্যানার্জী সহ তৃনমূল দলের নেতৃত্ব হাজির হয়। এবং ধরনায় বসে পড়েন সি বি আই এর সদর দপ্তর কলকাতার নিজাম প্যালেস সামনে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন সিবিআই কর্তারা। কারণ ঔ দিন সি বি আই গ্রেপ্তার করে পশ্চিম বাংলার পঞ্চায়েত মন্ত্রী শ্রী সুব্রত মুখার্জী ও মন্ত্রী জনাব ফিরিদ ববি হাকিম এবং মন্ত্রী শ্রী মদন মিত্র কে। সেই খবর ছড়িয়ে পড়তে ঘটনা স্হানে ছুটে যান পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃনমূল দলের নেতৃত্ব। যা নিয়ে রাজ্যের আইন ও শৃঙ্খলা রক্ষাকারীর প্রধান ও পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ এক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য এর বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল এর একলাসে অভিযোগ দায়ের করেন। সেখানে তারা জানান সিবিআই কর্তাদের কাজে বাধা ও তাদের সদর দপ্তর আটক রেখে চাপ সৃষ্টি করে মামলা কে হালকা করে দেবার চেষ্টা। এবং তাদের কাছে প্রভাব বিস্তার করতে চাওয়া নিয়ে একটি রিট আবেদন করেন। যা কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল এর ডিভিশন বেঞ্চ গ্রহণ করেন। এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে এই কেসে জড়িয়ে দেবার প্রতিবাদ করে এবং সিবিআই তার ভূমিকা ঠিক মতো পালন করেনি রাজ্যের মন্ত্রী দের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে। কারণ যে খানে কলকাতার সিবিআই আদালত রাজ্যের মন্ত্রীদের জামিন মঞ্জুর করেন। সেইখানে জামিন নামঞ্জুর না করার জন্য অধিক রাত পর্যন্ত রাজ্যের মন্ত্রীদের বসিয়ে রেখে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল এর ডিভিশন বেঞ্চ থেকে জামিন নামঞ্জুর না করার প্রয়াস চালান কি করে। এই দীর্ঘ সময় ধরে রাজ্যের মন্ত্রীদের বসিয়ে রেখে জামিন নাকচ করার কারণ কি। তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল কে সরিয়ে দেবার জন্য ভারতের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি শ্রী এচ এ রামান্নর কাছে চিঠি পাঠিয়ে দেন পশ্চিম বাংলার কলকাতা হাইকোর্টের বার কাউন্সিল এর সদস্যরা। তাদের দাবি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল ইচ্ছাকৃত ভাবে রাজ্যের মন্ত্রীদের জামিন মঞ্জুর করেন নি। রাজ্যের মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ করে সিবিআই কে সহযোগিতা করতে সাহায্য করেছেন। এবং সিবিআই কে প্রাধান্য দেয়া হয়েছিল। এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ করেছিল। এবং সারদা ও নারদা কান্ডের জামিন পাওয়া সত্বেও সি বি আই এর রিট আবেদন গ্রহণ করে তা মন্ত্রীদের জামিন মঞ্জুর নাকচ করে দেন। তাই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল কে সরিয়ে দিতে হবে। তবে কলকাতা হাইকোর্টের বার কাউন্সিল কর্তৃক সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি কে দেওয়া আবেদন কে কটাক্ষ করেন কলকাতা হাইকোর্টে এর ব্যারিস্টার ও সংসদ সদস্য ও কলকাতা পৌরসভার সাবেক মেয়র শ্রী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। তার দাবি এই ভাবে যদি কলকাতা হাইকোর্টে এর বার কাউন্সিল কর্তৃক পরিচালিত হয়ে প্রধান বিচারপতির অপশাসন চায় তাহলে তা হাস্যকর ছাড়া কিছুই নয়। আইন তার নিজের পথে চলবে বলে মনে করেন বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। তবে সারদা ও নারদা কান্ডের সঠিক বিচার হওয়ার দরকার। তাতে সাধারণ মানুষের কাছে বিচার ব্যাবস্থার প্রতি পূর্ণ আস্থা থাকবে।। ভারতের কলকাতা শহর থেকে নিউজ দাতা মনোয়ার ইমাম।