ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় হু হু করে বাড়ছে শনাক্তের সংখ্যা। গত তিন দিনে শুধুমাত্র নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৭২ জনের র্যাপিড এন্টিজেন টেস্টে ৩১ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শুক্রবার (৯ জুলাই) ১৭ জনের মধ্যে ১০ জনের দেহেই করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এর আগের এক সপ্তাহে করোনা শনাক্তের সংখ্যা ছিল মাত্র ১৫। সংক্রমণ দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে, চিকিৎসাসেবা বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। কারণ চিকিৎসক সংকটসহ করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার মতো লজিস্টিক সাপোর্ট নেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, এ যাবৎকাল নবীনগরে ৩৯২২ জনের করোনা নমুনা সংগ্রহ, তাদের মধ্যে ৫৮৯ জনের দেখে করোনা শনাক্ত হয়। সুস্থ হয়েছেন ৫০৩ জন। মৃত্যবরণ করেছেন ১৭ জন। বাকীদের ৯৫% বাড়িতে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। যারা বাড়িতে আইসোলেশনে আছে, সতর্কতার জন্য তাদের বাড়ির চারপাশে লাল নিশান দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সারাদেশে সর্বাত্মক লকডাউন চললেও স্বাস্থ্যবিধি মানছে না সাধারণ মানুষ। ধারণা করা হচ্ছে, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মানুষের কারণেই বাড়ছে এই সংক্রমণ। তাছাড়া সংক্রমিত হওয়ার তুলনায় সুস্থ হওয়ার হারও খুব একটি আশাব্যঞ্জক নয়।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা. তানভীর সালাম বলেন, নবীনগর উপজেলায় জ্যামিতিক হারে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। কিন্তু সাধারণের মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি না মানার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এমনভাবে সংক্রমণ চলতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যাবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামূল সিদ্দিক বলেন, করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। নবীনগরে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই যাচ্ছে। হাসপাতালে আইসোলেশনে থাকাদের জন্য খাদ্যসহায়তার পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২-৩ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ করা হবে। যারা নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে আছে, তাদের বাড়িতে ১৫ দিনের খাবার পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবাসহ সবকিছু মনিটরিং করা হবে।