হাজীয়া বেবী বিন্তে বাছেদঃব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের নোয়াগ্রামের কয়েক যুগের চলাচলের একটি রাস্তার সীমানা নির্ধারনের জটিলতায় ভোগান্তিতে পরেছে ১০ টি পরিবারের শতাধীক মানুষ।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দীর্ঘদিন ধরে শামসুল হক ডাইরেক্টরের বাড়ির ১০ টি পরিবারের প্রায় শতাধিক লোকজন কয়েক যুগ ধরে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে আসছে। কিন্তু বিগত কয়েকদিন আগে আরহাম উদ্দিনের বাড়ির মান্নান মিয়া ও তার বেয়াইন হনুফা বেগম তাদের একটি ফসলি জমি বালু দিয়ে ভরাট করে ফলে। এতে করে উক্ত চলাচলের রাস্তাটির সামনের একাংশে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এতে ডাইরেক্টরের বাড়ির লোকজনের চলাচলের বেঘাত ঘটে। এনিয়ে ইতিপূর্বে উভয়ের পক্ষের মধ্যে সমঝোতার জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ কয়েক দফা স্থানীয় সার্ভেয়ার দিয়ে সীমানা নির্ধারনে চেষ্টা করেন। কিন্তু সে সীমানা নির্ধারণের বিষয়টি দু’পক্ষের মন মতো হয়নি। এ নিয়ে বিপাকে পরেছে এলাকার ১০টি পরিবার।
এ বিষয়ে সমাধান ও চলাচলের রাস্তায় জলবদ্ধতার বিষয়ে শামসুল হক ডাইরেক্টরের বাড়ির একাধিক ভুক্তভোগী বলেন, আমরা আমাদের জন্মের পর থেকে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে আসছি। এই রাস্তা দিয়ে আমাদের ছেলে-মেয়েরা স্কুলে যাতায়াত করে। গরু-বাছুর নিয়ে আমরা মাঠে চড়াতে যাই। তারা তাদের জায়গা বালু দিয়ে ভরাট করার ফলে এখানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। আজ ১৫-১৬ দিন যাবৎ আমারা ১০ টি পরিবারের প্রায় শতাধীক লোকজন রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে অনেক কষ্ট করছি। এমনকি গত কয়দিন পূর্বে মারা যাওয়া একজন মৃত ব্যক্তি লাশ বহনেও অসুবিধা হয়েছে। আমরা এই রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করতে আমাদের মাননীয় সংসদ সদস্য এবাদুল করিম বুলবুল মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করি।
অপরদিকে এ বিষয়ে আরহাম উদ্দিনের বাড়ির মান্নান মিয়া বলেন, যেই জায়গাটি নিয়ে ঝামেলা এটা প্রকৃত পক্ষে আমাদের বাপ-দাদার সম্পত্তি। বিষয়টি সমাধানে আমরা কয়েক দফা সার্ভেয়ার এনে মেপে সীমানা নির্ধারণ করতে চেয়েছি। কিন্তু দক্ষিণ পাশের মাপে উনাদের রান্নাঘর পড়ায় শাহীন সাহেব বার বার সামাজিক সিদ্ধান্ত অমান্য করেন। এছাড়া আমরা বাপদাদার আমল থেকে তাদের সাথে সুসম্পর্ক থাকায় আমাদের জায়গা দিয়ে তাদের চলাচল করতে দিয়েছি। তারা যদি নমনীয় হয় তাহলে আমরা উভয়পক্ষ বসে সমাধানে যেতে রাজী।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল লতিফ শাহ আলম বলেন, আমরা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেছি কিন্তু সীমানা নির্ধারনের জন্য সার্ভেয়ার এনে মেপে সিদ্ধান্ত দিলে একপক্ষ মানতে চাইলেও অপর পক্ষ মানতে রাজী নয়। তাছাড়া এটি যদি সরকারি গোপাট বা সড়ক হত তাহলে আমরা শক্ত পদক্ষেপ নিয়ে বিষয়টি সুষ্ঠু সমাধান করে দিতাম। তবুও এখন যেহেতু কিছু লোকের চলাচলে সমস্যা হচ্ছে বলে শুনেছি আমরা পূনরায় উদ্যোগ নিবে বিষয়টি সমাধানের।