মোঃ শামীম আহমেদ.
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি।
ইনি হানিফ খাঁ বাড়ি কলাগাছিয়া ইউনিয়নের খারিজ্জমা গ্রামে। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে প্রায় সময় দেখা হয় চায়ের দোকানে। বসে বসে টিভি দেখা এবং চা খাওয়ার অভ্যাস। হাসিখুশি মানুষটার শরীরে বল না থাকলেও মনে এখনো অনেক জোর। আমরা সবাই জানি তিনি মুক্তিযোদ্ধা। কন্ঠে এখনো তেজস্বী ভাব রয়েছে। জিজ্ঞেস করলাম সার্টিফিকেট আছে। সাফ জবাব কে দিবে? বললাম গলাচিপা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা অফিসে যাচাই-বাছাই কমিটিতে আবেদন করতেন।
এবারো একই উত্তর গলাচিপায় যারা আছে ওরা টাকা খায়। আমি গরীব মানুষ ভাত খেতে পারিনা আবার ঘুষ দিমু কই দিয়া সার্টিফিকেট লাগবেনা। এ হলো একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার অভিব্যক্তি। তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন। যেদিন যুদ্ধ শুরু হয় সেদিন ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি এলাকায় কর্মরত। বঙ্গবন্ধুর ভাষন শুনে যুদ্ধে যোগদানের জন্য কয়েকজন মিলে সেনাবাহিনীর ক্যাম্প থেকে পলায়ন করেন। সেখান থেকে হেঁটে হেঁটে তারা পটুয়াখালী আসেন। আসার পথে বহু পাকিস্তানি সৈনিক হত্যা করেন। গ্রামে এসে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেন। অনেক লুটেরা সার্টিফিকেট ধারী মুক্তিযোদ্ধা সাজলেও হানিফ খাঁ দের মতো ব্যক্তিরা রয়ে গেছে অপরিচিতির তালিকায়। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাসই যেখানে এখনো সংরক্ষণ করা যায়নি সেখানে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার ইতিহাস নির্ভুলভাবে তুলে আনা যাবেনা এটাই স্বাভাবিক।
কাগজে আপনাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি না দিলেও আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়ার যুদ্ধে নেমেছি তাদের কাছে আপনি বীর। লাল সালাম হে বীর যোদ্ধা। তাই গলাচিপা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমন্ড এর কাছে সাধারণ মানুষের একটাই দাবি যাছাই বাছাই করে উক্ত ব্যক্তি কে মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট প্রধান করুন। এবং বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের উক্ত বিষয়টি ভেবে দেখার অনুরোধ যানাচ্ছে পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলা বাসী।