আরিফুল ইসলাম আশা:টানা ২৪ ঘন্টার অতিবৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে সাতক্ষীরার সব নিম্নাঞ্চল। শহরের বাড়িঘরে পানি ঢুকেছে। রাস্তাঘাট পানিতে থই থই করছে। বিলগুলিতে থাকা মাছের ঘের ও বীজতলা পানির চাপে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সাতক্ষীরায় ১৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে সাতক্ষীরা পৌর এলাকা ছাড়াও পাশ^বর্তী সব উপজেলার খালবিল পানিতে সয়লাব হয়ে গেছে। শহরের কামালনগর, ইটাগাছা, খড়িবিলা, বদ্যিপুর কলোনী, মাগুরা তালতলা, সরকারপাড়া এখন পানির নিচে। রাস্তাঘাটে পানি থই থই করছে। পানি ঢুকেছে শহরের শিশু হাসপাতাল, কালেক্টরেট চত্ত্বর, পুলিশ লাইন্স এবং বিজিবি সদর দফতরেও। এছাড়া ফায়ার ব্রিগেড এলাকা, সদর উপজেলা এলাকা এখন পানির নিচে।
মানুষের বসতবাড়িতে বৃষ্টির পানি ঢুকেছে। এসব পানি নিষ্কাশনের পথ না থাকায় তা জলাবদ্ধতায় রূপ নিচ্ছে। আরও বৃষ্টি হলে ভয়াবহ আকার ধারন করবে। পানিতে তলিয়ে গেছে বেতনা তীরবর্তী বিল মাছখোলা, বিল শ্যাল্যে, বিনেরপোতার বিল, রাজনগরের বিল, ছাগলার বিল সহ কমপক্ষে ১০টি বিল। এছাড়া শ্যামনগর, আশাশুনি ও তালা এলাকার গ্রামে গ্রামে পানি ঢুকেছে। মানুষের অবর্ননীয় দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।
পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় সাতক্ষীরার প্রানসায়ের খাল ও বেতনা নদী বৃষ্টির অতিরিক্ত পানি টানতে পারছে না। শহরের সব নর্দমা পানিতে ডুবে গেছে।
বৃষ্টির পানিতে ভেসে গেছে শত শত বিঘা চিংড়ী ঘের। নষ্ট হয়েছে সবজি ক্ষেত। এছাড়া বীজতলাগুলি তলিয়ে রয়েছে পানিতে। —