তালিবান মিলিয়েশিয়ার সম্পর্ক সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতে ব্যর্থ ভারত। তবে শেষ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে শান্তি ফেরাতে।। ভারত থেকে নিউজ দাতা মনোয়ার ইমাম। যতদিন যাচ্ছে তত তালিবান মিলিয়েশিয়ার যোদ্ধারা গুটি গুটি করে কাবুল অভিমুখে অগ্রসর হতে চলেছে। কারণ এই মাসের মধ্যে সারা আফগানিস্তান থেকে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটের শরিক দেশগুলোর সৈন্য সরিয়ে নেবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে। আমেরিকা, ২০১১, সালের পর সামরিক বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে পুরো আফগানিস্তানের তালিবান মিলিয়েশিয়ার যোদ্ধাদের নির্মূল করতে যুদ্ধ করতে নেমেছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে আফগানিস্তানের মাটিতে যুদ্ধ করে তালিবান মিলিয়েশিয়ার যোদ্ধাদের নির্মূল করতে ব্যর্থ হয় আমেরিকার নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটের শরিক দেশগুলোর সৈন্য বাহিনী। তার মধ্যে দিনের পর দিন সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করে তালিবান মিলিয়েশিয়ার যোদ্ধারা। তারা জালালাবাদ ও হিলমন্দ প্রদেশ থেকে একের পর এক এলাকা দখল করে এগিয়ে আসতে থাকে। অবশেষে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প পরাজিত হলে আরো শক্তিশালী হয়ে ওঠে তালিবান মিলিয়েশিয়ার যোদ্ধারা। এবং তালিবান মিলিয়েশিয়ার যোদ্ধাদের সঙ্গে সম্পর্ক করতে আমেরিকার নয়া প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দূত মারফত শান্তি ফেরাতে চেষ্টা করে। এবং সৌদি আরবের বাদশাহ সঙ্গে সম্পর্ক রেখে তালিবান মিলিয়েশিয়ার যোদ্ধাদের শান্তি ফেরাতে চেষ্টা চালিয়ে যান। তালিবান মিলিয়েশিয়ার যোদ্ধারা তাতে সাড়া দিয়ে শান্তি ফেরাতে জোর দেন। কিন্তু পুরো আফগানিস্তানের মাটি থেকে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটের শরিক দেশগুলোর সৈন্য বাহিনী ফিরিয়ে নেবার জন্য বলেন। সেই মোতাবেক তারা এই মাসের মধ্যে সব সৈন্য বাহিনী সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে ভারত আফগানিস্তান সরকার কে সাহায্য করতে প্রায় পঞ্চাশ হাজার কোটি টাকা খরচ করে আফগানিস্তান এর বিভিন্ন উন্নয়ন খাতে। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে তত তালিবান মিলিয়েশিয়ার যোদ্ধারা গুটি গুটি করে কাবুলের দখল নিতে এগিয়ে আসছে তাতে চিন্তার ভাজ পড়েছে ভারতের। কারণ তালিবান মিলিয়েশিয়ার যোদ্ধাদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক নেই ভারতের। তাছাড়া ভারত তালিবান মিলিয়েশিয়ার যোদ্ধাদের মূল অথনৈতিক কারবার আফিম ও পোস্তদানা আমদানি রুখতে ব্যর্থ হয়েছে। সেই সাথে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রতিরক্ষা দপ্তর থেকে প্রচুর পরিমাণে সামরিক সাহায্য দিয়ে তালিবান মিলিয়েশিয়ার যোদ্ধাদের সহযোগিতা করেছেন। এবং সৌদি আরব ও কাতার এবং রাশিয়া ও চীনের সাথে তালিবান মিলিয়েশিয়ার যোদ্ধারা ভালো সম্পর্ক রেখে সামরিক সাহায্য ও অর্থনৈতিক সাহায্য নিয়েছে। তাই নয় ব্রিটিশ আমল থেকে আজ পর্যন্ত কেউ আফগানিস্তানের মাটিতে স্হায়ী ভাবে শাসন করতে পারেনি।আজ তার অন্যথা হয়নি। তবে ভারত শেষ পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তালিবান মিলিয়েশিয়ার যোদ্ধাদের সঙ্গে শান্তি স্থাপন করতে।।