ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর ভারত ও পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এমন ইঙ্গিত দিলেন তালিবান মিলিয়শিয়া।। ভারত থেকে নিউজ দাতা মনোয়ার ইমাম। গত পরশু যখন আফগানিস্তানের তালিবান মিলিয়শিয়ার যোদ্ধাদের হাতে কাবুল এর পত্তন হয়। তার পর থেকে ভারতের উত্তর চাপ বাড়তে থাকে। কারণ ভারত সরকার তৎকালীন আফগানিস্তানের উন্নয়ন এর জন্য কয়েক হাজার কোটি মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করেছেন। তার মধ্যে সড়ক পথ বন্দর ও সালমা বাধ সহ আফগানিস্তানের নতুন রাস্ট্রপতি ভবন এবং বিভিন্ন কলকারখানা। কিন্তু সব কিছু দেওয়ার ফলে আফগানিস্তানের তালিবান মিলিয়শিয়ার যোদ্ধাদের অগ্রগতি কে রুখতে পারলো না আফগানিস্তানের সরকার। তাদের হাতে আমেরিকার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা তিন লক্ষের বেশি সামরিক বাহিনীর সদস্যরা এত সহজেই হার স্বীকার করবে কেউ তা ভাবতে পারেন নি। ভারত আফগানিস্তানের তালিবান মিলিয়শিয়ার যোদ্ধাদের অগ্রগতি কে আমাল না দেওয়ার জন্য কয়েক হাজার কোটি মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করা সে দেশের উন্নয়ন করা সব কিছু কে ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন। একই সাথে তালিবান মিলিয়শিয়ার যোদ্ধাদের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ আছে ভারতের। কারণ তাদের এই জয়ের প্রভাব পড়তে পারে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরে। কারণ তালিবান মিলিয়শিয়ার যোদ্ধাদের মধ্যে রয়েছে লস্কর ই তৈইবা ও হিজবুল্লাহ মুজাহিদিন এর সদস্যরা। যারা দীর্ঘদিন ধরে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের মধ্যে ছায়া যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের মেন মাথা জনাব হাফিজ আহমেদ সৈয়দ ও সৈয়দ সালাউদ্দিন শাহ মতো কট্টর জেহাদি নেতা। তারা চাইবে এবার তাদের জেহাদের নিয়ে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের মধ্যে প্রবেশ করাতে। তবে তার আগেই ভারতের নিরাপত্তা আটোসাটো করে নিয়েছে ভারতের প্রতিরক্ষা দপ্তর। ভারতের একটি চিন্তা তালিবান মিলিয়শিয়ার যোদ্ধাদের অগ্রগতি পিছনে পাকিস্তান ও চীনের এবং ইরানের সমর্থন আছে। তারা অর্থ ও সামরিক ও কূটনৈতিক এবং সামাজিক সাহায্য করে। যার ফলে তালিবান মিলিয়শিয়ার যোদ্ধারা সবাই একত্রিত ভাবে আফগানিস্তানের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে সফলতা অর্জন করে। ইতিমধ্যে চীন ও পাকিস্তান ও তুরস্ক এবং রাশিয়া তালিবান মিলিয়শিয়ার সরকারের প্রতি সমর্থন করেছেন। তারা সামাজিক ও অর্থনৈতিক এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং সামরিক সাহায্য করতে পারে। তবে তালিবান মিলিয়শিয়ার যোদ্ধারা কাবুল দখল করার পর সাধারণ মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করছে বলে জানিয়েছেন ভারতের কূটনৈতিক সদস্যরা। তবে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে তালিবান মিলিয়শিয়ার সরকারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যাতে আফগানিস্তানের ভারতের বসবাস কারি নাগরিকদের নিরপদে ভারতে ফিরে আসতে পারে।।