মোঃ ছাবির উদ্দিন রাজু : ২১ আগষ্টে ( ২০০৪) গ্যানেট হামলায় গুরুতর আহত হয়ে ২৪ আগষ্ট মারাযান, মহান মুক্তিযোদ্ধের অন্যতম সংগঠক,মহিয়সী নারী নেত্রী,বাংবালাদেশ আওয়ামীলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা শহিদ বেগম আইভি রহমান এর স্মৃতি চারনে ভৈরব উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল মনসুর,তিনি বলেন বাংলাদেশের অধিকারহারা মানুষের অধিকার আদায়ের প্রতিটি সংগ্রামে অগ্রভাগে থেকে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন।এমন কি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সন্ত্রাস এবং স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে যোগ দিয়েছিলেন সন্ত্রাস ও স্বৈরাচার বিরোধী সমাবেশে।সেখানেই শিকার হয় স্বৈরাচারের লেলিয়ে দেওয়া সন্ত্রাসী বাহিনীর বিভীষিকাময় এক গ্রেনেড হামলা।২০০৪ সালের ২১ শে আগস্টে গুরুতর আহত অবস্থায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ২৪ আগস্ট মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
উনার মৃত্যুর সংবাদ শোনার সঙ্গে সঙ্গে আমরা রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছিলাম এবং হাজার হাজার বিক্ষুব্ধ জনতা আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন ভৈরবের রাজপথ-রেলপথ সব অবরুদ্ধ হয়ে গেছিল। আন্তঃনগর সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনে জনতা আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল।আমি সেদিন দেখেছিলাম ভৈরবের মা আইভি রহমানকে ভৈরবের মানুষ কতটা ভালোবাসে।
তিনি প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জননেতা জনাব জিল্লুর রহমানের স্ত্রী হিসাবেই শুধু পরিচিত ছিলেন না তিনি ছিলেন স্বমহিমায় উদ্ভাসিত এক নারী। ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগ-যুবলীগ,আওয়ামীলীগের রাজনীতি করার সুবাদে উনার সংস্পর্শে থাকার সুযোগ আমার অনেক হয়েছে,অত্যন্ত কাছে থেকে উনাকে আমি যা দেখেছি উনি ছিলেন একজন মেধাবী ও দূরদৃষ্টি সম্পন্ন সাহসী নেত্রী। জিল্লুর রহমান এর প্রতিটি নির্বাচনে তার ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।তিনি একাই বিভিন্ন নির্বাচনী জনসভা ও মিছিলে নেতৃত্ব দিতেন,আর জিল্লুর রহমানের নির্দেশে আমি উনার সফরসঙ্গী থাকতাম।
অনেক স্মৃতি অনেক কথা যা লিখে শেষ করা যাবে না, আমাকে তিনি নিজের সন্তানের মতোই দেখতেন, অনেক স্নেহ অনেক ভালোবাসা পেয়েছি তার কাছে। তাই আজকের এই দিনে পরম করুনাময় মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে জীবন উৎসর্গকারী শহীদ আইভি রহমানকে তিনি যেন বেহেশতের সর্বোচ্চ মোকাম দান করেন।আমিন।