হাফিজুর রহমান শিমুলঃ কালিগঞ্জ কলেজ মোড় হতে কুশুলিয়া হয়ে ঝাঁপালী পর্যন্ত কার্পেটিং সড়কটি বর্তমানে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়ে আছে। যাত্রী সাধারণের প্রতিনিয়ত চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন এমন অবস্থায় থাকলেও নজর পড়ে না সরকারের সংশ্লীষ্ট কর্তৃপক্ষের। কালিগঞ্জ, শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার অনেক মানুষ এই সড়ক দিয়েই জেলা সদর সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে থাকেন। অতি ব্যস্ততম এই সড়কের প্রায় ২০ থেকে ২৫ টি স্থানে ভেঙে কার্পেটিং এর কোনো অংশই নাই। ছোট, বড় অনেক খানাখন্দ আর কাদামাটিতে নাকাল হচ্ছেন যাত্রী সাধারণ। প্রতিনিয়ত ট্রাক, মাইক্রো, প্রাইভেট, ইঞ্জিনভ্যান, মহেন্দ্রা, ইজিবাইক সহ বিভিন্ন যানবাহন ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। গেল বর্ষার মৌসুমে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে ওঠে। কালিগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে শুরু করে শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ীর ঝাঁপালী পর্যন্ত এই সড়কটির তালতলা থেকে শুরু করে চৌমুহনী হাট, কালিদহার বিল, পারুলগাছা মাট থেকে কুশুলিয়া হয়ে ঠেকরার হাজী মোড় পর্যন্ত যানবাহন চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কে দেখবে এই অবহেলিত জনপদের মানুষের নিত্যদিনের চরম ভোগান্তি। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে প্রতিদিন অসংখ্য যানবাহন। অনেক ভ্যান চালকের একমাত্র সম্বল খ্যানটি সড়কের মাঝে সৃষ্ট খানাখন্দে পড়ে সর্বশান্ত হয়ে আছে। দীর্ঘদিন এহাল অবস্থা থাকলেও সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি। এমনকি কোনো জনপ্রতিনিধির দৃষ্টিতেও পড়েনি ভোগান্তির শিকার মানুষের আহাজারির দৃশ্য। এমনিভাবে চলতে থাকলে অতি ব্যস্ততম সড়কটি আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে।