শনিবার দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে বাংলাদেশের বোলিং তোপে শ্রীলঙ্কান ব্যাটিংয়ে ধস নামে। ব্যাটিংয়ে মুশফিকুর রহিমের সেরা সেঞ্চুরি আর বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শ্রীলঙ্কাকে ১৩৭ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে উদ্বোধনী ম্যাচে শুভ সূচনা করল বাংলাদেশ।
মাত্র ১২৪ রানে ইনিংস গুটিয়ে নেয় তারা। লঙ্কানদের পক্ষে সর্বোচ্চ সংগ্রহ দিলরুয়ান পেরেরার, তিনি করেন ২৯ রান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উপুল থারাঙ্গার (২৭)। অন্যরা ছিলেন আসা-যাওয়ায়।
মাশরাফি বিন মুর্তজা, মুস্তাফিজুর রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ দুটি করে উইকেট নিয়ে প্রতিপক্ষের ব্যাটিংয়ে ধস নামান। আর একটি করে উইকেট পান সাকিব আল হাসান, রুবেল হোসেন ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
এর আগে মুশফিকুর রহিমের দারুণ শতকে বাংলাদেশ ২৬১ রান করে। মুশফিক ১৪৪ রানের দারুণ একটি ইনিংস খেলেন, বল খেলেছেন ১৫০টি। আর ১১টি চার ও চারটি ছক্কার মার দিয়ে ইনিংসটাকে সাজিয়েছেন তিনি।
অবশ্য ইনিংসের প্রথম ওভারেই লঙ্কান বোলিং তোপে পড়েছিল বাংলাদেশ। লাসিথ মালিঙ্গার সে ওভারের চতুর্থ বলে ওপেনার লিটন দাস স্লিপে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান কোনো রান না নিয়েই। ওয়ানডাউনে নামা সাকিব আল হাসান পরের বলেই আউট হন শূন্য রানে।
হাতে ব্যথা পেয়ে ওপেনার তামিম ইকবালও ফিরে যান সাজঘরে। পেসার সুরাঙ্গা লাকমলের বল তাঁর গ্লাভসে লাগে। ব্যথা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল এই বাঁহাতি ওপেনারকে। কিন্তু বিস্ময় ছড়িয়ে ইনিংসের শেষ মুহূর্তে ব্যাটিংয়ে নামেন তিনি। তাঁর সহযোগিতার কারণে বাংলাদেশের পক্ষে গড়া সম্ভব হয়েছিল এই চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ।
এরআগে দলীয় ১৩৪ রানের মাথায় ৬৮ বলে ৬৩ রান করে মিঠুন সাজঘরে ফিরেছিলেন। আর মাহমুদউল্লাহ চার বলে ১ রান করে আউট হন। সৈকতও আউট হন ১ রান করে।
এর পরই দলের বিপর্যয় এড়াতে দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন মুশফিকুর রহিম। তরুণ মোহাম্মদ মিঠুনকে নিয়ে দারুণ একটি জুটি গড়েন। পরে তামিমকে সঙ্গে নিয়ে শেষ মুহূর্তে ঝড় তুলে দলের ইনিংসটাকে এই পর্যায়ে নিয়ে যেতে মূল ভূমিকা রাখেন।
মুশফিকের এটি ষষ্ঠ আন্তর্জাতিক ওয়ানডে সেঞ্চুরি। আর ওয়ানডেতে এটি তাঁর সর্বোচ্চ ইনিংসও।