সাংবাদিকের অধিকারহরণকারী আইন অবিলম্বে সংশোধন করুন। তা না হলে জাতির জনকের স্বপ্নতো বাস্তবায়ন হবেই না বরং তার হত্যার সাথে জড়িত ক্ষমতা লিপ্সুরা বর্তমান সরকারের সকল সফলতাকে নস্যাৎ করে দেবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি মানবতার মা, সাংবাদিকদের অধিকার খর্ব হয় এমন কোন আইন বাস্তবায়ন করবেন না। সারাদেশের তৃনমূল পর্যায়ের সাংবাদিকদের একটি মাত্র আশার আলো আপনি; আর তাই আপনার কাছে আমাদের যত বায়না। বুধবার বিকেল ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বিএমএসএফ ঢাকা জেলা কমিটির অভিষেক ও আলোচনা সভায় বক্তারা উপরোক্ত কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ কৃষকলীগের সহ-সভাপতি শেখ মো: জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমাদের নেত্রী কোন ভুল সিদ্ধান্ত নেবেন না। তিনি সাংবাদিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী। অতএব নিশ্চিন্তে থাকুন এই আইনটি সংশোধনের প্রয়োজন হলে তিনিই পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএমএসএফ’র প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর বলেন, অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তার নামে প্রণীত এ আইনটি সংশোধণ করার আহবান জানাচ্ছি। যাতে করে একজন সাংবাদিকও হয়রাণী-হামলা-মামলার শিকার না হয়।
অতিথি ছিলেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ জার্নাালিষ্ট অর্গানাইজেশন’র চেয়ারম্যান এসএম মোরশেদ, বিএমএসএফ’র আইন উপদেষ্টা এ্যাড: কাওসার হোসাইন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক স্বপন সাহা, সেভ দ্য রোডের প্রতিষ্ঠাতা মোমিন মেহেদী, ডিইউজের সাংস্কৃতিক সম্পাদক জিএম মাসুদ ঢালী, কলকাতা টিভির পরিচালক মামুন অর রশিদ, মাইটিভির মানিক লাল ঘোষ, চ্যানেল কর্নফুলীর চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ, কবি ও লেখক ফিরোজা সামাদ, বিএমএসএফ’র সহ-সভাপতি হেদায়েত উল্লাহ মানিক, কেন্দ্রীয় সদস্য এমএ আকরাম, ঢাকা জেলার সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল ভুইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বকর, কবির নেওয়াজ রাজ, সহ-সম্পাদক হাসানূর রহমান সুমন প্রমুখ।
বক্তারা মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে ৩০ সেপ্টেম্বর স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচী প্রসঙ্গে বলেন, নির্মম নির্যাতন হামলা-মামলার হাত থেকে কঠিন ভবিষ্যতের হাত থেকে মুক্তির জন্য ডিজিটাল সিকিউরিটি ল সংশোধনের দাবিতে আগামি ৩০ সেপ্টেম্বর সারাদেশে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে বিএমএসএফ স্মারকলিপি প্রদান করবে। এই স্মারকলিপির মধ্যদিয়ে আমরা মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে আমাদের সর্বোচ্চ বিনয়সহ আবেদন করব সংশোধনের জন্য। যাতে করে আমরা সকলে নিরাপদ থাকি; নির্মমতামুক্ত থাকি।