পুলিশ সুপারের কার্যালয় জামালপুরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ১৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাতে প্রেস ব্রিফিং এ জামালপুর জেলার পুলিশ সুপার, নাছির উদ্দিন আহমেদ বলেন গত ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ ইসলামপুর থানাধীন সভুকুড়াস্থ দারুত তাক্বওয়া মহিলা মাদ্রাসার তিনজন ছাত্রী মোছাঃ মনিরা আক্তার(১০), মোছাঃ মিম আক্তার(৯) ও মোছাঃ সূর্য বানু (১১) দেরকে মাদ্রাসায় খুঁজে না পাওয়ার প্রেক্ষিতে মোছাঃ মনিরার পিতা মোঃ মনোয়ার হোসেন ইসলামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে -মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা রুজু করা হয়। পরে ইসলামপুর থানার একটি চৌকস দলের অক্লান্ত পরিশ্রমে রাজধানীর মুগদা এলাকার মান্ডা বস্তি থেকে নিখোঁজ দেরকে উদ্ধার করেন । এরপর আদালতের মাধ্যমে অভিভাবকদের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য যে, উক্ত ঘটনায় মামলা রুজু হওয়ার পর মাদ্রাসাটির চারজন শিক্ষককে গ্রেফতার করে আদালত প্রেরণ করা হয় এবং সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়।শিক্ষক ও এলাকাবাসীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী -জামালপুর জেলার পুলিশ সুপার,নাছির উদ্দিন আহমেদ এর সার্বক্ষণিক দিকনির্দেশনায় ইসলামপুর সার্কেল এএসপি মোঃ সুমন মিয়া এবং ওসি ইসলামপুর মোঃ মাজেদুর রহমানের তত্ত্বাবধানে মামলার আইও এবং সঙ্গীয় ফোর্সের সমন্বয়ে গঠিত চৌকস দলটি ইসলামপুর রেলস্টেশন হতে সম্ভব্য সকল স্থান পরিদর্শন করে সর্বশেষ রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনের সিসিটিভি ক্যামেরা পর্যালোচনা করে নিখোঁজ দের দেখতে পাওয়া যায়। পরে স্থানীয় রিকশা চালক রাজা মিয়ার তথ্য মতে তাদের উদ্ধার করা হয়।নিখোঁজ দের ইসলামপুর থানা আনা হয় এবং জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, তাদের বড় খালাম্মার( মাদ্রাসার মোহতামিমের স্ত্রী) ১০০০ টাকা হারিয়ে গেলে মাদ্রাসার সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তাদের সন্দেহ করে এবং টাকা ফেরত দিতে বলে। সবাই তাদের অন্য দৃষ্টিতে দেখায় তারা নিজেদের কে অসহায় ভেবে মাদ্রাসা থেকে পালানোর পরিকল্পনা করে এবং পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী কৌশলে পলায়ন করে জামালপুর কমিউটার ট্রেনে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।