শ্রমিকরা জানায়, দীর্ঘ সময় ধরে তাদের বেতন বকেয়া রয়েছে। বুধবার তিন মাসের বেতন দেওয়ার কথা ছিল। সকাল থেকে তারা বকেয়া বেতনের জন্য অপেক্ষা করছিল। বিকেল পর্যন্ত মালিক পক্ষের কোন সাড়া না পেয়ে শ্রমিকরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে।
এদিকে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধে বন্ধ হয়ে যায় ঢাকা সিলেট ও ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক। এ ছাড়া এ অবরোধের কারণে ঢাকামুখী যান চলাচল বন্ধ হয়ে সড়কের চারপাশে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। অবরোধে অংশ নেয়া শ্রমিকদের সরিয়ে দিতে সোনারগাঁ থানা পুলিশ, শিল্প পুলিশের সদস্যরা অবস্ান নিয়েছেন। শ্রমিক ও মালিক পক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছে পুলিশ । অবরোধ তুলে নিতে বার বার শ্রমিকদের অনুরোধ করেন ব্যর্থ হছেন।
সিনাহা ওপেক্স গার্মেন্টের শ্রমিক রায়হান, নোমান, আছিয়া বেগম জানান, লকডাউন থেকেই তাদের বেতন বকেয়া রয়েছে। আজ তিন মাসের বকেয়া বেতন দেয়ার কথা বলেছিলেন মালিক পক্ষ। হঠ্যাৎ আগামী মাসে বেতন দেওয়া হবে বলে একটি নোটিশ ঝুলিয়ে দেয়। তারপরও আমরা বেতনের জন্য মালিক পক্ষের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছি। কিন্মালিক পক্ষের লোকজন আমাদের সঙ্গে কোন কথা বলেননি। বাধ্য হয়ে বিকেলে সড়ক অবরোধ করতে হয়েছে।
সিনাহা ওপেক্স গার্মেন্টের সুইং সেকশনের শ্রমিক মিজানুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের বেতন বকেয়া রয়েছে। ফলে আমরা বেতন না পাওয়ায় মানবেতর জিবন যাপন করতে হছে। এখন আর দোকান বাকি ও বাসা ভাড়া বকেয়া রাখছে না মালিকরা। নিরুপায় হয়ে আমাদের আন্দোলন করতে হছে।
পুলিশ জানায়, সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, মালিক ও শ্রমিকদের সাথে কথা বলে সমঝোতার চেষ্টা চলছে। শ্রমিকদের দাবি, তিন মাসের বকেয়া বেতন দেয়ার কথা বলে তাদের সকাল থেকে অপেক্ষা করিয়ে এখনো বেতন দেয়া হয়নি। মালিক পক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান জানান, শ্রমিকদের অবরোধের কারণে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। অবরোধ প্রত্যাহার হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।