সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলায় এক অপ সাংবাদিকের দাপটে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। সাধারণ নিরীহ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতা সরকারি কর্মকর্তা সাংবাদিক ও জনপ্রতিনিধিগণ তার অপসাংবাদিকতা হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না। তার চাহিদা পূরণ করতে না পারলে কিংবা প্রতিপক্ষের নিকট থেকে দাবীকৃত চাঁদা আদায় করতে না পারলে শুরু করে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে চরিত্রহনন। হলুদ সাংবাদিকতার রোষানলে পড়ে ব্যবসায়ীরা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে উপজেলা সদরে। কালিগঞ্জ থানা ও সাতক্ষীরা আদালতে তার বিরুদ্ধে একাধিক চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা দায়ের হয়, যা চলমান আছে। জানা গেছে, কালীগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল মশরকাটি গ্রামের দিনমজুর এলাহী বক্স এর পুত্র হাফিজুর রহমান ওরফে টেমি হাফিজ বহু অপকর্মের হোতা। একটি দৈনিক পত্রিকার পরিচয় দিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মি হাফিজ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। ব্যক্তিগত শত্র“তা ও আক্রোশ মোকাবেলায় সে সংবাদপত্রকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে চলেছে। পিতা মাতা থেকে বিতাড়িত, নারী কেলেঙ্কারীর সাথে জড়িত ও একই ঘরে জনৈক মহিলার (টেমির) সাথে আপত্তিকর অবস্থায় ধরে ফেলে বেরসিক জনতা। এক পর্যায়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লম্পট হাফিজকে উত্তম মাধ্যম দিয়ে ছেড়ে দেয়। ঘটনাটি পরেরদিন বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ পায়। কথিত সাংবাদিক পরিচয় দানকারী লম্পট হাফিজের নামের আগে টেমি শব্দটি যোগ করে বেরসিক জনতা ডাকতে থাকে। যে নামে আজও উপজেলা বাসী জানে ও চেনে। একপর্যায়ে টেমি হাফিজের খায়েশ জাগে সাংবাদিক হওয়ার। যশোর থেকে প্রকাশিত গ্রামের কাগজ পত্রিকার মাধ্যমে তার সাংবাদিক বনে প্রবেশ। ব্যাপক চাঁদাবাজি আর বিতর্কিত সংবাদ প্রকাশের অভিযোগে ঐ পত্রিকা হতে বাহির করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এরপরও থামেনি তার কুকাজ, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারি এক কর্মকর্তা এ প্রতিনিধিকে জানান, হাফিজ কে প্রতি মাসের চাঁদা দিতে হয়। তাছাড়া হাফিজের অনেক অন্যায় আবদার রক্ষা করতে হয়। নিরুপায় হয়ে চাকুরি করতে গেলে তাকে নিয়মিত মাশোয়ারা দিতে হয়। তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মকর্তাদের নিকট থেকে চাঁদা দাবি, ফুলতলা কাঁচা বাজারে ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে চাঁদা দাবি, উপজেলা এলাকার হোটেল রেস্টুরেন্ট ও বড় মুদির দোকানে চাঁদা দাবি, রাজনৈতিক নেতা ঘের ব্যবসায়ী ও জনপ্রতিনিধির নিকট থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ হয়ে তার বিরুদ্ধে উপজেলা সদরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে একাধিকবার। তবুও থামেনি টেমি হাফিজের এই চাঁদাবাজি। এভাবে সর্বত্র সাধারণ মানুষ তার মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। সাংবাদিকতার মত এই মহান পেশাকে পুঁজি করে টেমি হাফিজ এহেন ন্যাক্কারজনক কর্মকান্ড কে উপজেলা এলাকার জনপ্রতিনিধি সাংবাদিক ও সকল সুশীল সমাজ তীব্র নিন্দা ও ঘৃণা প্রকাশ করেছে। সকলেই এই টেমি হাফিজের হাত থেকে রক্ষা পেতে পুলিশ ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।