লিয়াকত রাজশাহী ব্যুরোঃ রাজশাহীর তানোরের আলোচিত সমালোচিত নাম করা অধ্যক্ষ ইসাহাক আলী মৃধার বিরুদ্ধে এবার কৃষি ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট কলেজ খুলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি কৃষি ডিপ্লোমা কলেজের নামে নিজস্ব জায়গা না থাকলেও কাগজে কলমে বোর্ড পর্যন্ত জালিয়াতি করে কলেজের নামে জমি দেখানো হয়েছে।
অথচ তানোর চাপড়া এতিমখানার মার্কেট ভাড়া নিয়ে চলে কৃষি ডিপ্লোমা কলেজের কার্যক্রম। আবার এই কৃষি ডিপ্লোমা কলেজে ছাত্র ছাত্রীর চাইতে শিক্ষক কর্মচারীর সংখ্যা তিনগুণ বেশি। ফলে কে শিক্ষক, কর্মচারী আর কে ছাত্র বোঝা বড় দায়।
জানা গেছে, অধ্যক্ষ ইসাহাক আলী মৃধা তানোর চাপড়া মহিলা কলেজ থেকে অবসর হয়ে আবারো অধ্যক্ষ হয়ে কৃষি ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট নামের এই কলেজ খুলে বসেছেন তিনি। তবে কলেজটি এমপিও না হলেও একটি করে পোস্টের নিয়োগ বানিজ্য করা হচ্ছে ১০ থেকে ২০ লক্ষ করে টাকা। আবার অনেকে টাকা দিয়েও চাকরি না পেয়ে মাসের পর মাস বছরের পর বছর অধ্যক্ষ ইসাহাক আলী মৃধার পিছনে ঘুরছেন ভুক্তভোগীরা।
তানোর পৌর এলাকার হরিদেবপুর গ্রামের সার ডিলার মনিরুল ইসলামের ছোট ভাই ওবায়দুল কে গণিত শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে বলে তার কাছে থেকে ২০লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় অধ্যক্ষ ইসাহাক আলী মৃধা। এছাড়াও তানোর সদরের শিক্ষক শামসুদ্দিন মাষ্টারের মেয়ে পারভীন কে চাকরি দেয়া হবে বলে প্রায় ১০লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। গুবির পাড়া গ্রামের মতিউর রহমানকে পিয়ন পোস্টে চাকরি দিবে বলে তার কাছে থেকে অধ্যক্ষ ইসাহাক আলী মৃধা হাতিয়ে নেয় ৮লক্ষ মত টাকা। তবে মতিউর রহমানের বাড়ি পোপারে হয় অধ্যক্ষ ইসাহাক আলী মৃধাকে বেঁধে মারধর করে টাকা উত্তলন করেন মতিউর রহমান। কিন্তু বাকিদের বাড়ি দূরে হওয়ায় চরম দু’চিন্তায় রয়েছে তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রভাষক বলেন, অধ্যক্ষ ইসাহাক আলী মৃধা কি ভাবে এক কলেজ থেকে অবসর নিয়ে আরেক কলেজের অধ্যক্ষ হয়। তার বয়স অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। বর্তমানে তিনি কি ভাবে কৃষি ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট কলেজের অধ্যক্ষ হন আমার বোধগম্য নয়। আমার মনে হয় সে নিজে অধ্যক্ষ না হয়ে অত্যন্ত গোপন অন্য কাউকে অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বে রেখেছেন তিনি বলে জানান। বিষয়টি নিয়ে অধ্যক্ষ ইসাহাক আলী মৃধার সাথে যোগাযোগ করা হলে তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।