উজ্জ্বল রায়, নড়াইল থেকে:
নড়াইলের আদর্শ মহাবিদ্যালয় বার মাসের আট মাস পানির নিচে থাকে খেলার মাঠ!! খেলার মাঠে পানি জমে ডোবার সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি নড়াইলের লোহাগড়া সরকারি আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের খেলার মাঠে খেলার মাঠে পানি জমে ডোবার সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি নড়াইলের লোহাগড়া সরকারি আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের খেলার মাঠে নড়াইলের লোহাগড়া সরকারি আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের খেলার মাঠ পাঁচ মাস ধরে পানির নিচে। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানায়, সাত বছর ধরে বছরের আট মাসই মাঠে পানি জমে থাকে। এতে কলেজের শিক্ষার্থীরা ছাড়াও উপজেলা সদর ও আশপাশের অন্তত ১৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মাঠটি ব্যবহার করতে পারে না। বন্ধ রয়েছে নানা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আয়োজনও। প্রতিবছর মে থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত জলাবদ্ধ থাকে মাঠটি। এ অবস্থা ২০১৫ সাল থেকে। বিশাল এই খেলার মাঠ লোহাগড়া উপজেলা সদরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। লোহাগড়া সরকারি আদর্শ মহাবিদ্যালয় ছাড়াও লোহাগড়া সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়, লোহাগড়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, মিতালী মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়, মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ উপজেলা সদর ও আশপাশের অন্তত ১৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মাঠটি ব্যবহার করত। শিক্ষা বিভাগের জাতীয় পর্যায়ের বাছাইপর্বের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হতো এ মাঠে। শরীরচর্চা করতে উপজেলা সদর ও আশপাশের লোকজন এ মাঠ ব্যবহার করেন। কিন্তু সাত বছর ধরে বছরের প্রায় আট মাস মাঠটি জলাবদ্ধ থাকায় সবাই পড়েছে বিপাকে এ বিষয়ে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আকবর আহমেদ বলেন, ‘এ অবস্থার কথা সংশ্লিষ্ট সব মহলে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। কিন্তু এ পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ দেখলাম না।’ কলেজের দক্ষিণ পাশে মাঠটি অবস্থিত। মাঠের উত্তর ও দক্ষিণ পাশে চলাচলের সড়ক এবং পূর্ব ও পশ্চিম পাশে বাড়িঘর। বৃষ্টির পানি বের হওয়ার পথ নেই। সম্প্রতি গিয়ে দেখা যায়, বিশাল মাঠে পানি থইথই করছে। মাঠজুড়ে কচুরিপানা ও ঘাসের ঝোপ। হাঁস সাঁতার কাটছে সেখানে। মাঠে ফেলা হয়েছে ময়লা-আবর্জনা ও আশপাশের ক্লিনিকের বর্জ্য। পানির সঙ্গে সেগুলো মিশে পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। স্থানীয় লোকজন জানান, মাঠের পানি নিষ্কাশনের জন্য চারটি কালভার্ট ছিল। অপরিকল্পিতভাবে বাড়িঘর ও অন্যান্য স্থাপনা গড়ে ওঠায় কালভার্টগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। মাঠের পূর্ব পাশের বাসিন্দা মৌরানী বিশ্বাস বলেন, ‘গত মে মাস থেকে এ পর্যন্ত পানির নিচে রয়েছে মাঠটি। ডিসেম্বর পর্যন্ত পানি থাকবে। এ অবস্থায় আমাদের সব বাড়ি থেকে নেমে দাঁড়ানোর জায়গা নেই ছেলে মেয়েরা খেলাধুলা করতে পারে না। মাঠের পচা দুর্গন্ধে বাড়িতেও থাকা দায়। মশার উপদ্রবও বেড়েছে।’পৌরসভার স্থানীয় ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আনিচুর রহমান জানান, নগর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় একটি বরাদ্দ হচ্ছে। সেটি দিয়ে মাঠের দক্ষিণ পাশ থেকে একটি নালা লোহাগড়া বাজার হয়ে নবগঙ্গা নদীতে নামবে। পৌরসভা এটি বাস্তবায়ন করবে। এতে মাঠের জলাবদ্ধতা দূর হবে।