সেলিম শাহারীয়ারঃসাতক্ষীরার কালিগঞ্জে মথুরেশপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজান গাইনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত করলেন ইউএনও খন্দকার রবিউল ইসলাম। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে তিনি সোমবার (০৪/১০/২১) বেলা ১১ টা হতে অভিযুক্ত প্রকল্প গুলোর সরেজমিনে তদন্ত করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যান মিজানুর গাইনের বিরুদ্ধে দুর্ণীতির অভিযোগকারী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিম। ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান গাইন, মথুরেশপুর ইউপির সদস্য ও সদস্যাবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, কালিগঞ্জ উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ। মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিমের দায়েরকৃত অভিযোগে জানাগেছে, বিগত ৫টি বছরে মিজানুর রহমান গাইন চেয়ারম্যান হওয়ার সুবাদে অত্র ইউনিয়নে কাগজে কলমে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্নসাৎ করে সরকারের উন্নয়নের ধারাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে চলেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় হতে প্রাপ্ত প্রকল্পের কাগজপত্র তুলে সরেজমিনে দেখে কাজের কোনো মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি। ২০১৭-১৮-১৯ ও ২০২০ অর্থ বছরের উলেখিত প্রকল্পের সমুদয় অর্থ লোপাট করেছে। দুর্ণীতি করতে করতে চেয়ারম্যান মিজান গাইন বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির, মাদ্রাসা, পানি নিস্কাশনের ড্রেন সহ অসংখ্য জনগুরুত্বপুর্ণ প্রকল্পের কাজ না করে লক্ষ লক্ষ টাকা হজম করেছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলাম মথুরেশপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়াডের মনোরঞ্জন ঘোষের বাড়ী হতে নিলকমল ঘোষের বাড়ী অভিমুখে ইটসোলিং (১ লক্ষ টাকা), বজলু সরদারের বাড়ীর মুখ থেকে কোমলের বাড়ী অভিমুখে নতুন ইটসোলিং (৪১ হাজার টাকা),১ নং ওয়ার্ডে হবি মোল্লার বাড়ীর মুখ হতে সাইফুল মেম্বরের বাড়ি অভিমুখে পানি নিস্কাশনের আউট ড্রেন নির্মান (২ লক্ষ টাকা),২ নং ওয়াডে হাড়দ্দহা কলগেট হতে ঘর্নিঝড় আয়লার পানি প্লাবন হতে রক্ষা পাওয়ার জন্য রমিচ পুটের বাড়ি অভিমুখে মাটির রাস্তা নির্মান(২ লক্ষ টাকা), ১নং ওয়ার্ডে বসন্তপুর গ্রামের পোর্ট প্রাইমারী স্কুলের সামনে হতে মুনজুর গাজীর বাড়ী পর্যন্ত নতুন ইটের রাস্তা (৬০ হাজার টাকা), ৭ নং ওয়ার্ডে উজয়মারী জয়দেবের বাড়ীর মুখ হইতে উজয়মারী প্রাইমারী স্কুল পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার (৮০ হাজার টাকা), ৮নং ওয়ার্ডে নিজদেবপুর জসিমউদ্দীন এর মুখ হতে মুজিবর ঢালীর বাড়ি অভিমুখে রাস্তা (২ লক্ষ টাকা), ৯নং ওয়াডে বসন্তপুর মন্দির সংস্কার (২ লক্ষ টাকা) প্রকল্পের তদন্ত করেন।