হায়রে জীবন,
মনে পড়িয়া গেল সেই সময়কার কথা..
রকমারি খান বলিলেন, শুধু দেখিতে থাকিলাম দুই নয়ন জুড়িয়া, হৃদয় জুড়িয়া। কখনো মনে হুইতো বলিয়া দেই, এই মিয়া লুচ্চামি ছাড়েন।
পরক্ষনে ভাবি উহা করিবার লোকের অভাব নাই। তাহার কর্ম বলিয়া দিবে কোন উপটোকন তাহার জন্য অপেক্ষা করিতেছে।
হাসিখুশি তরফদার বাদাম ভাঙ্গে আর খায় , এর ফাঁকে বলে ওঠে, একজন মানুষের মুখের উচ্চারিত বচন নহে, তাহার কর্ম বলিয়া দেয় মানুষটি আসলে কতটুকু নীতিবান।
কথা চলছিল, সিগারেট ধোয়া জমাট বেঁধে উপরে উঠছে- নাটকের রিহার্সাল আজ আর নয়। অন্যদিন।
কাশি দিয়ে উঠলো খান সাহেব, বল্লো- একজন মানুষের চলাচল- উঠাবসা দেখিয়া অতি সহজেই অনুমেয় হুইতে পারে পারিবারিক শিক্ষা। জীবনের অনেক সময়কাল হুইতে দেখিয়া আসিতেছি মানুষের লোভ লালসা আর কাম চরিতার্থ করিবার আদিম উন্মাদনা। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি সহজাত আকর্ষণ এবং কি নিষ্ঠুর ভাবে ব্যাক্তিত্ব জলাঞ্জলি দিয়া কুপুরুষে পরিনত হয়।
নাট্যকার আশরাফ ভাই নিশ্চুপ, নির্বাক।
কাসেম আলী কিছু একটা কইতে চায় মনে হুইলো । অনেক শান্ত মানুষ। কোলাহল থেকে নির্জনে থাকিতেই ভালোবাসেন। অবশেষে মুখ খুলিলেন, সচ্ছতা আর সরলতার ভান ধরিয়া থাকা ভয়ংকর প্রতারক কিছু মানুষ থাকিয়া গেছে , বোকা বানানো মুল কাজ। তবে ইহা বুঝিবার ক্ষমতা নাই, সব দেখা যায় বুঝা যায়; একদম পানির মতো পরিষ্কার।
পিছনে থাকা নিতাই চিরিতকার করিয়া উঠিলো, বলছিলো- অনেক কিছুই রেকর্ড হুইয়া গিয়াছে ইতোমধ্যে। শুধু ভাইরাল হুইতে বাকি বড়দা।
সবাই তো হতবাক , বলে কি নিতাই …
বিবেক আসিয়া কহে-
অতি ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর ভাবনার মানুষ, সংকীর্ণতা পুরো আত্মা জুড়িয়া বসবাস করে তাহাদের। গঠন মানুষ বলিয়া মনে হুইলেও আসলে অন্য প্রানীর আচরণ রহিয়াছে স্বভাবে (চলমান)
লেখকঃ সিনিয়র সাংবাদিক শাহীন বাবু।