চির নিদ্রায় শায়িত হলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের
ইংরেজি বিভাগের আমাদের শ্রদ্ধেয় প্রফেসর শাহিন মাহবুব কবীর ম্যাডাম। প্রথাগত শিক্ষকতার বাহিরে তিনি আমাদের
কাছে ছিলেন মায়ের মতো। গাজী ভবনের বাসায় শিপলু, রেজা, দোলন ভাই সহ আমার নিয়মিত যাতায়াত ছিল। জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরী স্যার ম্যাডামের পিতা ছিলেন। তাঁকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছিল। এত উন্নত ও মার্জিত পরিবার, কিন্তু সবাই অমায়িক ছিলেন।
জীবনে সজাগ হওয়ার জন্য এক সন্ধ্যায় আমাদের চারজনকে বলেছিলেন -পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি।
চাকরিতে আসার পর স্বাস্থ্য সচিব সিরাজুল হক খান স্যার,
আহসানুল কবির ভাই, ইউসুফ ভাই সহ ম্যাডামের শিক্ষকতা জীবনের প্রথম দিকের ছাত্রদের সাথে ম্যাডামের বাসায় যেতাম। ম্যাডাম বিস্কুট পছন্দ করতেন, তা নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব আমার থাকতো। ম্যাডামের বড় ছাত্র সিরাজ স্যার ব্যয় বহন করতেন।
ম্যাডাম সিঙ্গাপুর চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায়ও কথা হয়েছে। আমাদের Get Together ভালো হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন। ফেসবুকে কয়েকবার ভিডিও দেখেছেন।
পরবর্তী প্রোগ্রামে ম্যাডাম থাকবেন বলে ইচ্ছা ব্যক্ত করেছিলেন। আমার আফসোস থেকে যাবে! ম্যাডামের সাথে কথা হলেই আমাদের অনেকের খোজ খবর নিতেন।
একেবারে শেষ সময়ে গিয়ে ম্যাডামের ফুফা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) শাহেদুল আনাম, ম্যাডামের ছাত্র ও আমার স্যার Professor Dr. Shamsad Mortuza ( Pro-VC, ULAB) স্যারকে পেলাম। ম্যাডামের কবরের পাশে কিছুক্ষণ নিরবে দাঁড়িয়ে থাকলাম। আমার আসতে মন চাচ্ছিল না। স্যার বললেন -মাটি দেয়ার পর আর থাকতে নেই ! আমি তো কম জানি স্যার। স্যারের কথা মেনে নিয়ে ফিরে এলাম।
তাহলে আজ চিরতরে ম্যাডাম আমাদের থেকে চলে গেলেন। পরপারে ভালো থাকবেন। আল্লাহ ম্যাডামকে বেহেশতবাসী করুন। সবার কাছে ম্যাডামের জন্য আন্তরিক দোয়া চাই।
তথ্যসূত্রঃ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপসচিব, অফিসার্স ক্লাব ঢাকা এর নির্বাহী সদস্য ‘আলমগীর হোসেন’ এর ফেসবুক থেকে