আজ২৫ শে নভেম্বর সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার ৬নংনলতা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অফিসে আনুমানিক ভোর ৩ টায় অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিতে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বিতরা। আট নাম্বার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন আনুমানিক ভোর ৩ টা বা সাড়ে তিনটার দিকে এমনটা ঘটতে পারে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অফিসে আগুন জ্বলছে এমন অবস্থায় স্থানীয় জনগণ সেখানে উপস্থিত হন এবং প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করেন। বিষয়টি বিশেষ বিবেচনায় নিয়ে প্রশাসন উক্ত স্থানে উপস্থিত হন এবং আওয়ামী লীগ কর্মী ও সাধারন জনগনের মধ্যে বিষয় টি ছড়িয়ে পড়ে, এবং ৬ নম্বর নলতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কর্মীগন উক্ত স্থানে উপস্থিত হতে থাকেন এবং সকলেই বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করেন। ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, এটি ২০১৩ সালে নাশকতা সৃষ্টিকারী জামাত ও বিএনপি সদস্যদের কর্মকাণ্ড, ২০১৬ সালে বিএনপি ধানের শীষ প্রতীক থেকে নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও আসন্ন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আজিজুর রহমান ও তার লোকজন এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন, তিনি আরো বলেন আজিজুর রহমান ইউনিয়ন থেকে আওয়ামীলিগকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন আজিজুর রহমান ও তার দলীয়কর্মীগন ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী নেতা কর্মীদের হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। নলতা ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক সাইফুল ইসলাম টুটুল বলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সফল রাষ্ট্র নায়ক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ছবিতে অগ্নিসংযোগ খুবই দুঃখজনক একটি ঘটনা স্বাধীন চেতনাবাদী কোন নাগরিক এমন জঘন্য কাজ করতে পারে না। এমন কর্মকাণ্ড যারা করে তারা কখনও দেশকে ভালবাসতে পারে না। এসময় নলতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আনিছুজ্জামান খোকন ও আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ্ব আবুল হোসেন পাড় দুঃখ ক্ষোভ প্রকাশ করেন, এসময় তিনি বলেন আমরা প্রশাসনের নিকট বিষয়টিও অতিবাহিত করেছি এবং আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, ঘটনাস্থলে উপস্থিত আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীগণ উক্ত ঘটনার বিচার দাবি করেন এবং ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন, উক্ত ঘটনার যথাযথ বিচার না হলে তারা আমরণ অনশন ও আন্দোলন করবেন বলে জানান সাংবাদিকদের। কালিগঞ্জ থানা অফিসার্স ইনচার্জ জনাব গোলাম মোস্তফা ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করেন ও বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক আইনের আওতায় আনা হবে এবং দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে বলে জানান। এসময় কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রনি ও সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ শাহরিয়ার, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সেক্রেটারি সহ সকল নেতৃবৃন্দ এবং যুবলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক খাদেমুল ইসলাম তুফান, তরুণলীগের কালিগঞ্জ থানা সভাপতি মোখলেছুর রহমান মুকুল, শেখ সাইফুল ইসলামসহ সকল অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অবশেষে নৌকার সমার্থক ও সকল নেতাকর্মীরা বলেন সাতক্ষীরা জেলার ২২ লক্ষ মানুষের অভিভাবক ডাক্তার আ ফ ম রুহুল হক এমপি স্যারের ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুবিচারের অপেক্ষায় আমরা রইলাম।