যাত্রার নর্তকী টুম্পা ও আওয়ামী লীগ নেতা শরবত হত্যা মামলার আসামি শাহনেওয়াজ ডালিমের হাতে নৌকা প্রতীক দেখতে চাইনা বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরার আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের বাসিন্দারা। এক মানববন্ধন করে এই দাবি জানিয়ে তারা বলেন বর্তমান পিরিয়ডের চেয়ারম্যান ডালিমের পুরো পরিবার বিএনপি নেতাকর্মী বেষ্টিত। তিনি নিজে একজন রাজাকারের পুত্র বলেও অভিযোগ করেন তারা।
১ম ধাপের ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে বুধবার সাতক্ষীরা জেলা কালেকটরেট চত্বরে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা এই অভিযোগ তুলে বলেন চেয়ারম্যান ডালিম ভিজিডি ভিজিএফ বয়স্ক ভাতা ও বিধবা ভাতার টাকা আত্মসাত করায় তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে দুদকে। এ ছাড়া যাত্রার নর্তকী টুম্পাকে ধর্ষনের পর তাকে হত্যা এবং ২০২০ সালের ১০ এপ্রিল একটি ঘের দখলকে কেন্দ্র করে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা গদাইপুর গ্রামের শরবত মোল্লা হত্যা মামলা এখনও চলমান রয়েছে। এই মামলায় তিনি জেলও খেটেছেন বলে মানববন্ধনে উল্লেখ করেন তারা। এছাড়া তার বাবা মোজাহার সরদার ছিলেন তালিকাভূক্ত রাজাকার। এমন ব্যক্তিকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন এবং তার হাতে নৌকা প্রতীক না দেওয়ারও দাবি জানান তারা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রুহুল কুদ্দুস মোল্লা, জাকিরুল ইসলাম, চা ল্যকর তারামনি গনধর্ষন মামলার আসামি বর্তমানে আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ ইসমাইল হোসেন, বুধহাটা ইউনিয়ন ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি বর্তমানে আওয়ামী লীগের সদস্য মাসুদুর রহমান প্রিন্স, সিরাজুল ইসলাম, গনেশ চন্দ্র, ইয়াকুব আলী প্রমুখ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহনেওয়াজ ডালিম বলেন, তার বাবা মোজাহার আলী সরদার ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। একথা ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সব সদস্যই বলেছেন। তিনি আরও বলেন, তার বিরুদ্ধে আনীত টুম্পা ধর্ষন ও হত্যার অভিযোগ বানোয়াট। এছাড়া শরবত হত্যার ঘটনা ঘটে দুই পক্ষের মারামারির জেরে। এ মামলায় তিনি জামিনে রয়েছেন।
——-