মাজহারুল রাসেল : সোনারগাঁয়ে বিলুপ্তির পথে পরিবেশ বান্ধব গরুর হালচাষ। সোনারগাঁয়ে এক সময়ে কৃষকদের জমি চাষে একমাত্র নির্ভরশীল গরুর হাল চাষ এখন বিলুপ্তির পথে। প্রতিটি বাড়ি বাড়ি হাল চাষের জন্য একাধিক জোড়া হালের বলদ,লাঙ্গল,জোয়াল ও মইসহ হালচাষের সরঞ্জাম যেন বাড়ির একটি মানান ছিল। যার বাড়িতে যত বেশি ঐসব সরঞ্জাম থাকতো,এলাকা জুড়ে তার পরিচিতি থাকতো তত বেশি। এতে করে শোভা পেত তার বাড়ির গোয়ালঘর ও বৈঠকখানা।
এখন আধুনিকতার ছোঁয়ায় সেই বৈঠকখানাও আর নেই,নেই হালের বলদ,লাঙ্গল,জোয়াল। সবকিছুই এখন বিলুপ্তি হতে চলেছে। সময় ও অর্থের সাশ্রয় এবং এবং ঝামেলামুক্ত থাকতেই লোকজন এখন গরুর হালের পরিবর্তে মাঠে মাঠে নামিয়েছে,পাওয়ার ট্রিলারের যান্ত্রিক হালচাষ। গরুর অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি,কামলাদের চাহিদা বেড়ে যাওয়া,গৃহস্থরা আর চায় না অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে। সময় ও অর্থ বাঁচাতে কৃষকদের প্রায় বাড়ি বাড়ি হয়েছে পাওয়ার ট্রিলার।
তবে,গরু দিয়ে হালচাষের প্রথা বিলুপ্ত হতে চললেও এই ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন,উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়নের হাসান আলী (৬২)। এই বয়সেও তিনি জমিতে হালচাষ দিয়ে ফসল ফলাচ্ছেন। সরেজমিনে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।
তিনি বলেন,তিনি নিজের গরু লাঙ্গল দিয়ে জমিতে চাষ দিচ্ছেন ফসল করার জন্য। এছাড়া আগের ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য তিনি এখনো বর্তমানে গরু দিয়ে হাল চাষ দিয়ে থাকেন প্রতিবছর।