রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুরু হয়েছে শোকরানা মাহফিল। সমাবেশে উপস্থিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার সকাল পৌনে ১১টায় তিনি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে হাজির হন। এর আগেই আলেমদের সমাগমে এক প্রকার জনসমুদ্রে পরিণত হয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।এ সময় সমাবেশের সভাপতি হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
প্রধানমন্ত্রী হাত নেড়ে আগতদের শুভেচ্ছার জবাব দেন। পরে মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন।এর আগে রোববার সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে এই শোকরানা সমাবেশ শুরু হয়।
দাওরায়ে হাদিসকে স্নাতকোত্তর সমমান মর্যাদা দেয়ায় সমাবেশ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেয়া হবে। আল্লামা শাহ আহমদ শফীর পরিচালনাধীন আল-হাইয়াতুল উলয়া লিল-জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ এই সমাবেশের আয়োজক।
এতে সভাপতিত্ব করবেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ও হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।শোকরানা সমাবেশ ঘিরে ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন জেলার মাদ্রাসা থেকে গাড়ি নিয়ে দলে দলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আসেন। সমাবেশস্থল আলেম-ওলামাদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছাড়াও পার্কিং জোন ছাপিয়ে সড়কে গিয়ে মিশেছে জনস্রোত। আয়োজকরা আগেই জানিয়েছেন, শোকরানা সমাবেশে ১০ লাখের বেশি উপস্থিতি হবে।
এদিকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও এর চারপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শাহবাগ ও টিএসসি মোড়ে প্রস্তুত রাখা হয়েছে পুলিশের সাঁজোয়া যান। ইউনিফর্মের পাশাপাশি সাদা পোশাকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।মৎস্যভবন, হাইকোর্টের সামনের এলাকা, দোয়েল চত্ত্বর, টিএসসি থেকে সোহরাওয়র্দী উদ্যানের প্রতিটি প্রবেশ পথে সতর্ক অবস্থা দেখা গেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যদের। এ ছাড়া প্রতিটি প্রবেশপথে বসানো হয়েছে আর্চওয়ে। মেটাল ডিটেক্টর ও হাতে তল্লাশির মধ্য দিয়ে সভাস্থলে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে।