তন্ময় শাহ্,ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ে সদর উপজেলার দুরামারি নামক এলাকায় বুধবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে শামিমের হোটেলের পাশে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত মেহেদি ঠাকুরগাঁও বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র ও ঠাকুরগাঁও রুহিয়া সেনেহারি গ্রামের আ: মালেকের ছেলে ও আহত আরমান শহরের পরিশোধ পাড়ার জুয়েল ইসলামের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ৮টার দিকে কিশোর বয়সী কিছু ছেলেদের চিল্লাপাল্লা শুনতে পেয়ে বাজারের লোকজন এগিয়ে গিয়ে দুজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
নিহত মেহেদির মামা আমজাদ হোসেন বলেন, স্কুলে যাওয়ার সুবিধার্থে মেহেদি আমাদের বাসায় থেকে পড়াশোনা করতো। সন্ধ্যায় কেউ একজন মেহেদিকে ডেকে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরে মোবাইলে একজন হামলার বিষয়টি জানায়।
আহত আরমানের পিতা জুয়েল ইসলাম বলেন, আমি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ছিলাম। হঠাৎ ছেলে আমাকে কল দিয়ে আহত হবার কথা জানায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি।
ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: ছাবরিনা জানান, অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের কারণে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই মেহেদির মৃত্যু হয়েছে ও আরমানের অবস্থা খুব বেশি গুরুতর না হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম আতিক জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ বিষয় তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।