উজ্জ্বল রায়, নড়াইল থেকে:
নড়াইলে হাতের মেহেদির রং শুকাতে না শুকাতেই যৌতুকের বলি হলো গৃহ বধূ লাবিবা ফারহানা শ্রবনী (২২) নামে এক গহবধূ।বিবাহের দুইমাস ২০ দিন পূর্বে তাদের বিবাহ হয়। নড়াইলের কালিয়ায় উপজেলার যাদবপুর গ্রামে শনিবার এ ঘটনা ঘটে। সে ওই গ্রামের হাচিবুর রহমানের স্ত্রী। এ ঘটনার পর স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ি লোকজন পলাতক রয়েছে। জানাগেছে, খুলনা তেরখাদা উপজেলার হাড়িখালী গ্রামের ফারুক শেখের কণ্যা লাবিবা ফারহানা শ্রবনীর সাথে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার যাদবপুর গ্রামের হেমায়েত বিশ্বাসের ছেলে হাচিবুর রহমান বিশ্বাসের সাথে দুইমাস ২০ দিন পূর্বে বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামী হাচিবুর রহমান চাকুরীরর জন্য পিতার বাড়ি থেকে নগদ ১০ লক্ষ টাকা যৌতুক আনার জন্য চাপ দিতে থাকে। গত ২৪ ডিসেম্বর পিতার বাড়ি যেয়ে বিষয়টি জানায় টাকার কথা। এত টাকা তার পরিবারের পক্ষ থেকে দেয়া সম্ভব নয় বলে জানানো হয়। নিহতের চাচাতো ভাই হাবিবুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, হাচিবুর রহমান ১০ লক্ষ টাকা যৌতুক আনার জন্য আমার বোনকে চাপ দিচ্ছিল। আমার চাচা গরীব মানুষ এত টাকা কি ভাবে দেবে। তবু চাকুরী হলে যায়গা-জমি বিক্রী করে সাধ্যমত সহযোগিতা করার কথা বললেও তা মানতে রাজি হয়নি। এখনই টাকা নিয়ে আসতে হবে। নিহতের পিতা ফারুক শেখ অভিযোগ করে বলেন, আমাকে বাড়িতে গত ২৪ ডিসেম্বর যেয়ে ১০ লক্ষ টাকা দাবির বিষয়টি জানা। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে চাকুরী হলে যায়গা-জমি বিক্রী করে সাধ্যমত সহযোগিতা করার কথা বললেও তা মানতে রাজি হয়নি। টাকা না দেওয়ায় আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। মেয়ে হত্যার বিচার দাবি করেন তিনি। কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) শেখ কনি মিয়া বলেন, লাশের ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।