পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধিঃ
খাগড়াছড়িতে জেলা পুলিশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে এক তরুণীর করা যৌন হয়রানির অভিযোগের তড়িৎ ব্যবস্থা নিল পুলিশ।
ভুক্তভোগী তরুণীর ধারণ করা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড দিয়ে পুলিশের সহযোগীতা চাওয়ার ২৪ঘন্টা পেরুনোর আগেই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড দেয়া ভিডিও থেকে দেখা যায়, খাগড়াছড়ি পৌর শহরের কলেজ সড়কে টমটম অটো রিক্সায় গন্তব্যে যাচ্ছিলেন ভুক্তভোগী তরুণী। এ সময় টমটম চালক যাত্রীকে(তরুণী) উদ্দেশ্যে করে যৌন হয়রানিমূলক আচরণ করে। ভুক্তভোগী ওই তরুণী কৌশলে টমটম চালকের নেতিবাচক আচরণ ভিডিও ধারণ করেন এবং প্রতিবাদ জানান। ভিডিও করতে ডেকে অভিযুক্ত চালক টমটমটি মূল সড়ক থেকে গলিতে নিয়ে পালানোর চেষ্টাকালে ওই তরুণী চিৎকার করেন। ভুক্তভোগী তরুণীর চিৎকারে পথচারীরা টমটমটি আটক করে। এ সময় তরুণী পথচারীদের কাছে টমটম চালকের নেতিবাচক ব্যবহার সম্পর্কে তুলে ধরেন।
ভুক্তভোগী তরুণীর সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোডের পর ছড়িয়ে পড়ে ইন্টারনেট জগতে।
অনেকে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে পোস্টটি ম্যানশন করে প্রতিকার চান। তা নজরে আসার সাথে সাথে অভিযানে নামে খাগড়াছড়ি সদর থানা পুলিশ।
অভিযুক্ত টমটম চালক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ার খবর পেয়ে পালিয়ে যায়। অভিভাবকের সহযোগীতায় অভিযুক্তকে থানায় হাজির করা হয়।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মুহম্মদ রশীদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখে জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে অভিযান শুরু হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্ত টমটম চালক পালিয়ে যায়।
শনিবার সকালে অভিভাবকের সহযোগিতায় তাকে থানায় হাজির করা হয়। পরবর্তীতে ভিকটিম তরুণীর কাছে ক্ষমা চাওয়ায় এবং অভিযুক্ত নাবালক হওয়ায় মুছলেকা নিয়ে অভিভাবকের জিম্মায় দেয়া হয়।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ বলেন, পুলিশিং সেবা কার্যক্রম এখন অনেক আধুনিক, কেউ অপরাধ করে ছাড় পাবে না।
খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশের ইতিবাচক এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন নারী ও শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠন।