মুসলিম নিদানের দাওয়াই দেয়ার অভিযোগে, আজ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গ্রেফতার স্বঘোষিত ধর্ম গুরু ।।
আজ ভারতের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বার থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে স্বঘোষিত ধর্ম গুরু শ্রী নরসিংহানন্দ গিরি মহারাজ। গত ডিসেম্বর মাসে ভারতের উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে একটি হিন্দু ধর্ম সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে হিন্দু সমাজের ধর্ম গুরু শ্রী নরসিংহানন্দ গিরি মহারাজ ও সাবেক ভারতের শিয়া ধর্মাবলম্বী গুরু পরে ধর্ম ত্যাগ করে হিন্দু হয়ে যাওয়া হিন্দু ধর্মের নেতা জনাব ওয়াসিম আকরাম রিজভী অরফে শ্রী জিতেন্দ্র নারায়ণ সিঙ ত্যাগী বলেছেন যে ভারতের মুসলিম সমাজের মানুষের হত্যা করে মারতে অস্ত্র হাতে তুলে ধরতে হবে হিন্দু সমাজের। নতুবা আগামী দিনে ভারতের মাটিতে উত্তর উত্তর বৃদ্ধি পাবে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। সেই সঙ্গে তাদের অর্থ সামাজিক যোগাযোগ কে বিচ্ছন্ন করে তিলে তিলে শেষ করার দাওয়াত দেন। এই সভাটি হয় গত বছরের, ডিসেম্বর মাসে, ১২,থেকে, ২০,ই, ডিসেম্বর। এই বক্তব্যের জেরে উত্তাল হয়ে পড়ে সারা বিশ্বের মুসলিম সমাজের কাছে। দোয়ী স্বঘোষিত ধর্ম গুরু শ্রী নরসিংহানন্দ গিরি মহারাজ ও ওয়াসিম আকরাম রিজভী অরফে শ্রী জিতেন্দ্র নারায়ণ সিঙ ত্যাগী কে গ্রেফতার করার জন্য ভারতের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে রিট আবেদন জানান পাটনা হাইকোর্টের সাবেক বিচারপতির শ্রী মতী অণ্জনা প্রকাশ এবং বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও রিপোর্ট র জনাব মোঃ কুরবান আলী। তাদের বক্তব্য শুনে ভারতের প্রধান বিচারপতি র ডিভিশন বেঞ্চ রায় দেন যে ঔ স্বঘোষিত ধর্ম গুরু শ্রী নরসিংহানন্দ গিরি মহারাজ ও ওয়াসিম আকরাম রিজভী অরফে শ্রী জিতেন্দ্র নারায়ণ ত্যাগী কে অবিলম্বে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু ওখানে বিজেপি সরকার থাকতে সাহসিকতার অভাব দেখা যায়। এবং ঔ ধর্ম গুরু শ্রী নরসিংহানন্দ গিরি মহারাজ পুলিশ কে হুমকি দেন যে তাকে গ্রেফতার করলে ফল ভয়াবহ হবে। কিন্তু ওখানে সরকার গড়তে নতুন করে ভোট নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন ক্ষমতা দখল করে এবং তাদের হাতে প্রশাসনিক ক্ষমতা আসতে আইন ও শৃঙ্খলা অবনতি রুখতে এবং সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশ মেনে গ্রেফতার করা হয়। তার আগে গ্রেফতার করা হয় সাবেক ভারতের শিয়া ধর্মাবলম্বী মানুষের গুরু ও ধর্মীমান্তরিত হিন্দু ধর্মের যাওয়া জনাব ওয়াসিম আকরাম রিজভী অরফে শ্রী জিতেন্দ্র নারায়ণ ত্যাগী কে। ওদের বিরুদ্ধে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ কে নিধন করা ও হত্যা করার নির্দেশ দেওয়া র ধারা রুজু করে মামলা দায়ের করেছেন উত্তরাখণ্ড রাজ্যের পুলিশ। বর্তমানে ওরা এখন শ্রী ঘরে।।