জেমস আব্দুর রহিম রানা: যশোরের ঝিকরগাছা পৌর নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোস্তফা আনোয়ার পাশা জামাল বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৭ হাজার ৩৭৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন বিএনপির ইমরান সমাদ নিপুণ। তিনি পেয়েছেন ৬ হাজার ১২৬ ভোট।
এদিকে নতুন মুখ ৯ কাউন্সিলর ও ১২ নারী কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহন শেষে ফলাফল গণনা করা হয়। এখানে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হয়। নির্বাচনে ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন পানির বোতল প্রতীক নিয়ে নজরুল ইসলাম, ২নং ওয়ার্ডে ব্রিজ প্রতীকে আরিফ হোসেন, ৩নং ওয়ার্ডে পাঞ্জাবি প্রতীকের সাজ্জাতুল জামান রনি, ৪নং ওয়ার্ডে পানির বোতল প্রতীক নিয়ে আলিম গাজী, ৫নং এ পানির বোতলের প্রার্থী একরামুল হক খোকন, ৬নং ওয়ার্ডে উট পাখি প্রতীকের নূরুজ্জামান বাবু সর্দার, ৭নং এ আমিরুল ইসলাম রাজা, ৮নং ওয়ার্ডে ডালিম প্রতীকের তারিকুজ্জামান ও ৯নং ওয়ার্ডে গাজর প্রতীকের ইউনুস আলী। ১, ২, ৩নং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী আনারস প্রতীকের শ্যামলী আক্তার, ৪, ৫, ৬নং এ আনারস প্রতীকের জেসমিন সুলতানা এবং ৭, ৮, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে অটোরিক্সা প্রতীক নিয়ে নাজমুন নাহার নাজু নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা ছিল পুরো পৌর এলাকা। দীর্ঘ ২০ বছর পর পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় এক দিকে ভোটারদের যেমন আগ্রহ ছিল তেমনি তুলনামুলক প্রার্থী সংখ্যাও ছিল বেশি। পৌরসভার ১৪টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে মেয়র পদে ৬ জন, কাউন্সিলর পদে ৬৪ ও নারী কাউন্সিলর পদে ১৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এতে মেয়র পদে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান মেয়র মোস্তফা আনোয়ার পাশা জামাল, আওয়ামী সাবেক সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক একেএম আমানুল কাদির টুল্লু (নারিকেল গাছ), উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক ছেলিমুল হক সালাম (জগ) ও যুবলীগ কর্মী ইমতিয়াজ আহমেদ শিপন (মোবাইল) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন দলের উপজেলা শাখার যুগ্ম-আহ্বায়ক ইমরান হাসান সামাদ নিপুণ (কম্পিউটার)। অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নেন উদ্ভাবক আব্দুল্লাহ আল সাঈদ (রেল ইঞ্জিন)। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা অপূর্ব বিশ্বাস বলেন, নির্বাচন অবাধ ও নিরপক্ষ করতে সব রকম প্রস্তুতি নেয় নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচনে পৌরসভার ২৫ হাজার ৯৯৪ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। তিনি আরও বলেন, ভোট চলাকালে পৌর এলাকার ১৪টি ভোটকেন্দ্রের কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়নি। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।