এতোটা বিবেকহীন হওয়া সম্ভব নয়, এতোটা নির্লজ্জ হওয়া উচিত নয়। বিবেক নামক মর্যাদার পেশায় আসীন হয়ে নিজেরাই ধর্ষক সাজবো, বেলেল্লাপনায় লিপ্ত হবো আবার সেসব ধামাচাপা দেয়ার জন্য সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করবো? বলছিলাম বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) নামক একটি সংগঠন ও তার কতিপয় নেতার কথা। সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণ করে এই সংগঠনের বিশাল ক্ষমতাধর অসাংবাদিক আহমেদ আবু জাফর ও তার অর্থবিত্ত হালুয়া রুটির ভাগীদার কতিপয় ব্যক্তি সাংবাদিকতার নামে, সংগঠন করার নামে দেশব্যাপী ভূয়া সাংবাদিকতা ও চাঁদাবাজির ভয়ঙ্কর দৌরাত্ম্য চালিয়ে যাচ্ছে। ওই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক নিজে পেশাদার সাংবাদিক না হয়েও ঘোষণা দেন: সারাদেশে ১৭ হাজার সাংবাদিক রয়েছে তার। এবার বুঝুন, সরকারের নিবন্ধনহীন একটি সংগঠনের সাধারন সম্পাদকই যদি দেশজুড়ে ১৭ হাজার সাংবাদিকের জন্ম দিয়ে থাকে, বাকিরা কী ধরনের অপকর্ম করে চলছে তা বুঝে নিন।
আমাকে একরকম জোরপূর্বক এই সংগঠনে সম্পৃক্ত করে মূল সাংবাদিকতার ইমেজ ব্যবহার করে আরো কয়েক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার ফন্দি এটেছিল চক্রটি। কিন্তু আমি উল্টো ওই সংগঠনের প্রকৃত সাংবাদিকদের নিয়ে সর্বোচ্চ পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছিলাম। ভূয়া সাংবাদিকদের হটিয়ে দেয়া, সংগঠনের অনুমোদন করানো, সংবিধান প্রনয়ণ, চাঁদাবাজিসহ সব ধরনের অপকর্ম বন্ধ করাসহ বিভিন্ন সংস্কার কাজে বেজায় ক্ষুব্ধ ওই আহমেদ আবু জাফর তার চাঁদাবাজ ঘনিষ্ঠ সহযোগিদের নিয়ে আমার বিরুদ্ধে থ্যিা প্রোপাগান্ডা, সন্ত্রাসী লেলিয়ে দেয়া, অনলাইনে মিথ্যা গুজব রটাতে অনলাইন এ্যাক্টিভেটিস্ট নিয়োগ দেয়ার মতো অপকর্ম শুরু করেছেন।
এসব সংগঠন নিয়ে কামড়া কামড়ি, নেতৃত্বের লড়াই, পদ পদবী জবর দখলের জন্য আমার জন্ম হয়নি, আমি কেবল সাংবাদিকতার জন্যই জীবনের সবটুকু সময়, শ্রম, মেধা দিয়ে আসছি। ১৯৮৬ সালের ২৪ মে দৈনিক ইত্তেফাকের হাত ধরে সাংবাদিকতায় যুক্ত হওয়ার পর থেকে আজ বাংলাদেশ প্রতিদিনে চাকরি করা পর্যন্ত লাখো পাঠকের সঙ্গে আমি সংযুক্ত। দেশে প্রচলিত ২৮টি বিষয়ে চার সহস্রাধিক লীড নিউজ করার সৌভাগ্য অর্জন করেছি আমি, সাংবাদিকতায় জাতীয় পর্যায়ে আটটি পুরস্কার জুটেছে আমারই ভাগ্যে।
ভূয়া ও অপসাংবাদিকতার জনক আহমেদ আবু জাফর ও তার চাঁদাবাজ কয়েক ব্যক্তি আমার অর্জিত সুনামকে আঘাতগ্রস্ত করে হলেও নিজের পদ পদবী আর অপকর্মকে আরো নিস্কন্টক করতে চায়। অতিসম্প্রতি তিনি এক নারী নেত্রীকে নিয়ে ধর্ষণকান্ডে জড়িয়ে ব্ল্যাকমেইল শুরু করেছেন, বিষয়টি ধামাচাপা দিতে সংগঠনের বেশ কিছু নেতা আমাকেও চাপাচাপি করে চলছেন। বিবেকী কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আমি কয়েকদিন নিরব থাকলেও এমন অনৈতিকতাকে কোনভাবেই সমর্থন দিতে পারছি না।
আমি গত দুদিন ধরেই পুরোপুরি অনিরাপদ বোধ করছি, নিরাপত্তাহীন এই সঙ্কটকালে পাশে চাইছি। আমি জানি আতঙ্কিত চক্রটি আমার নামে দুর্ণাম চর্চার মাধ্যমে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় মেতে উঠবে, সেখানেই পাল্টা প্রতিবাদ করে অপরাধীদের সব চক্রান্ত রুখে দিতে আমি সাহায্য চাই। আমি এটাও জানি যে, আহমেদ আবু জাফর তার ব্ল্যাকমেইলিং কান্ডটি ধামাচাপা দিতেই নতুন নতুন ঘটনার জন্ম দিচ্ছেন। কিন্তু আমি আমার লক্ষ্যবস্তু সম্পর্কে ওয়াকিবহাল, আমি নির্দ্দিষ্ট ঘটনার আসল রহস্য ফাঁস করার পরই কেবল অন্যান্য গুজব, দুর্ণাম চর্চার বিষয় খেয়াল করে থাকি। অতএব তার অপকর্ম ফাঁসের ব্যাপারে সন্দিহান হওয়ার কোনো কারণ নেই, নিশ্চিতভাবেই জানবেন।
(আমি জানি, আমাকে রক্ষাকল্পে, বিপদমুক্ত করতে বারবারই আপনাদের ঝাঁপিয়ে পড়তে হয়, তবে বারবারই আপনারা সত্যের ঝান্ডা উড়ানোর সফলতাই অর্জন করেন)
লেখকঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল এর ইনচার্জ জনাব সাইদুর রহমান রিমন।