#পাঁচদফা দাবি-দাওয়া
১ম দাবি ছিল- বেকারত্ব নিরসনে কর্মসংস্থান। এতে উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো হলো- শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন শেষে যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মের নিশ্চয়তা প্রদান, বেকার তরুণদের সহজ শর্তে ন্যূনতম ৫ লাখ টাকার ঋণ প্রদান, ঘুষ-দুর্নীতি ও রাজনৈতিক বিবেচনার বাইরে বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা।
২য় ধফায় উল্লেখিত দাবিগুলো হলো- চাকরির নিয়োগ ব্যবস্থা। এতে রয়েছে-৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর চাকরিতে কোটা প্রথার সংস্কার, চাকরির আবেদন সম্পূর্ণ ফ্রি করা, প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার ১০ দিনের মধ্যে ও লিখিত পরীক্ষার ৯০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা এবং মৌখিক পরীক্ষার নম্বর কমিয়ে সর্বোচ্চ ৫০ নির্ধারণ করা, তথ্য যাচাইয়ের নামে হয়রানি বন্ধকরণ, বেসরকারি চাকরি আইন প্রণয়ন ও তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর আধুনিক নিয়োগ পরীক্ষা পদ্ধতির প্রণয়ন।
৩য় ধফা দাবির মধ্যে রয়েছে- শিক্ষা ও গবেষণা। এতে বলা হয়, শিক্ষাখাতে বার্ষিক বাজেটের ২০ শতাংশ বরাদ্দ রাখা, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নেয়া, প্রশ্ন ফাঁসবিরোধী সেল গঠন করা, শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ বন্ধে কঠোর আইন করা এবং মেধাপাচার রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৪র্থ ধফা দাবিতে উল্লখ করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষক সংক্রান্ত বিষয়গুলো। এতে বলা হয়, ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা, আবাসনের কৃত্রিম সংকট দূর করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট বাজেটের ১০ শতাংশ গবেষণা খাতে বরাদ্দ দেয়া, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আধুনিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, শিক্ষকদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধির পাশাপাশি বেতন কাঠামো তৈরি করা, মাদক, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস-দখলদারিত্বমুক্ত গণতান্ত্রিক ও নিরাপদ ক্যম্পাস গড়ে তোলা।
৫ম তম ধফায় বলা হয় যুব অ্যাসেম্বলি আয়োজনের কথা। যুব সমাজকে গণতান্ত্রিক পরিবেশে উন্নত নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠার সুযোগ দিতে প্রতি বছর যুব অ্যাসেম্বলি এর আয়োজন করার উদ্যোগ নিতে বলা হয়। যুব অস্যাম্বেলিতে প্রতিনিধিত্ব করবে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচিত ছাত্র সংসদের সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ্যের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন যুগ্ম আহবায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান, নুরুল হক নুর, ফারুক হাসান। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির যুগ্ম আহ্বায়ক মোল্লা বিন আমিন, জসিম, মশিউর রহমানসহ শতাধিক শিক্ষার্থী।