মাজহারুল রাসেল : সোনারগাঁ উপজেলায় দেশি বরই আগের মতো এখন আর দেখা যায়না। ক্রমেই যেন এই উপজেলা থেকে বিলুপ্ত হতে চলেছে এই দেশি বরই।তবে ছিটেফোঁটা যেটুকু টিকে আছে, সেসব গাছে দেশি বরই’র ব্যাপক ফলন হয়েছে।
এক সময় এই উপজেলার বিভিন্নস্থানে উঁচু জমিতে, সড়কের পাশে অনেকটা অবহেলায় বিচ্ছিন্নভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতো ‘টক বরই’গাছ। নানা কারণে কৃষক আগাছা হিসেবে মনে করতো এ ধরনের বরই গাছকে। মানুষের আগ্রহ না থাকায় পাখিদের খাবার জোগাতো এই টক বরই। অবহেলার কারণে কয়েক বছরের ব্যবধানে টক বরই বিলুপ্তির তালিকায় চলে এসেছে। তবে এখনও অনেকের আগ্রহের কেন্দ্রে রয়েছে এই টক বরই।
স্থানীয় পরিবেশ প্রেমিক সাংবাদিক রিপন সরকার বলেন, সোনারগাঁ উপজেলার বিভিন্নস্থানে এখন পর্যন্ত কিছু দেশি বরই গাছ টিকে আছে। এসব বরই বাজারে বিক্রি করে কৃষকরা ভালো দাম পাচ্ছেন। অন্যদিকে বরইয়ের পুষ্টিগুণ ভাল, রোগ বালাইও কম।
এ উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়নের জহিরুল ইসলাম খোকন বলেন,দেশি বরই গাছে কোন প্রকারের ওষুধ দিতে হয় না। এমনিতেই ফল আসে। আর মানুষের কাছে এখনো দেশি বরই’র চাহিদা রয়েছে। লোকজনও বেশি দামেই দেশি বরই কেনে। উপজেলার কিছু স্থানে এখনোও দেশি বরই গাছ রয়েছে। এতে এবার ভাল ফলন হয়েছে।
সোনারগাঁ উপজেলার পৌরসভা এলাকার তাজুল ইসলাম জানান, তাদের একটি দেশি বরই গাছে ভাল ফলন হয়েছে। আচার তৈরিতে টক বরই প্রয়োজন। টক বরইয়ে আগাম ফলন হয়, শুকিয়ে সংরক্ষণ করা যায়।
উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়নের শেখ এনামুল হক বিদ্যুৎ বলেন,দেশি বরইয়ের বিকল্প নেই। এক সময় রাস্তার পাশে জন্মানো বরই গাছ কৃষকরা কেটে ফেলতেন। এখন রাস্তার পাশে তেমন একটা এ বরই গাছ দেখা যায় না। তারপরও তাদের এলাকার প্রায় বাড়িতেই দেশি বরই গাছে ভাল ফলন হয়েছে।
সোনারগাঁ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরা আক্তার বলেন, এ উপজেলার মাটিতে কুল চাষ করলে কৃষকরা লাভবান হতে পারবেন।এরমধ্যে অনেকেই বাণিজ্যিকভাবে কুল চাষ করছেন। এর চাষাবাদ বাড়াতে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। তিনি বলেন,এখনও উপজেলার বাসা বাড়ি এবং পরিত্যক্ত এলাকায় দেশি বরই গাছ টিকে আছে।এগুলো সংরক্ষণ করা সবার দায়িত্ব।