ভারত থেকে নিউজ দাতা মনোয়ার ইমাম।। ভারতের রায়পুর রাজ্যের কোন্ডাগাও জেলার বাশপেট গ্রামের বাসিন্দা শ্রী চন্দন নেতাম সাথে বিবাহ হচ্ছিল প্রতিবেশী রাজ্যের উড়িষ্যার বাসিন্দা শ্রীমতী বিবাতী নামে এক যুবতীর। সব ঠিক ঠাক চলছিল। সাথে সাথে কানাই ঢোল ডাক বাজনা এবং ভূরীভোজ নানা রকমারি খাবার। বিবাহ মঞ্চে এসে হাজির বরপক্ষের সব বরযাত্রী। পাত্রী পক্ষের লোকজনের সরগরম চারিদিকে, তার মধ্যে হঠাৎ করে পাত্রীর প্রসব বেদনা উঠে। সাথে সাথে নিয়ে যাওয়া হয় স্হানীয় হাসপাতালে সেখানে জন্ম নেয় একটি পুত্র সন্তান। এই খবর পেয়ে খুশিতে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়ে বরপক্ষ। কন্যার শশুর ছেবিলাল নেতাম ও শাশুড়ি মাতা শ্রীমতী সরিতা দেবী খুশিতে আত্মহারা হয়ে যায়। কারণ এই গোষ্ঠী আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মানুষ। এদের বিয়ের আগে উভয় একসাথে থাকার অধিকার আছে। তাই অনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহ হবার আগে তারা একসাথে মিলিত হয়েছে বহু বার। এদিন শশুর বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার আগে ফের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর নিয়ম অনুসারে ফের বিবাহের পিড়িতে পাত্রীর বসতে হয়। তখনই পাত্রীর প্রসব বেদনা উঠে। এবং হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ওখানে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। এবার খুশি মনে বৌমা এবং নাতি কে নিয়ে শশুর ছেবিলাল নেতাম ও শাশুড়ি মাতা সরিতা মান্ডি বাড়িতে নিয়ে যাবার জন্য তৈরি হয়েছেন।।