প্রভাষক মনিরুজ্জামান (মহসিন):
সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলার সখিপুরে অবস্থিত সরকারি খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা কলেজের শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক,নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের সদস্য মো. মইনুদ্দিন খান (৫৮) এর দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
১১ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বাদ জুম্মা অর্থাৎ বেলা আড়াইটায় দেবহাটা উপজেলার ৪ নং নওয়াপাড়া ইউনিয়নের দেবীশহর ফুটবল মাঠে নামাজে জানাজা শেষে দেবীশহর বাড়ী সংলগ্ন রাস্তার পাশে নতুন কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।
নামাজে জানাযা পরিচালনা করেন দেবীশহর শাহী জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মো. নূরুল হক।
প্রতিবেশী মনিরুল ইসলাম মনির এর সঞ্চালনায় জানাযার পূর্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনা রাখেন মরহুম মইনুদ্দিন খান পিতা আলহাজ্জ নূর আলী খান, একমাত্র পুত্র শাহরিয়ার মাহমুদ সাগর, মেজ ভ্রাতা মো. ফারুক হোসেন, দেবহাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্জ মো. মুজিবর রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান সবুজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন শাহেব আলী, সরকারি খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা কলেজের অবসরপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ আলহাজ্জ মো. আব্দুল মজিদ, ব্যবস্থাপনা বিভাগীয় প্রধান শেখ মিজানুর রহমান, শিক্ষক মো. আবু তালেব, কাজী গোলাম ওয়ারেশ, নূর আহমেদ গাজী, হাফেজ মো. হাবিবুল্লাহ, মাওলানা রবিউল ইসলাম প্রমূখ।
দেবীশহর শাহী জামে মসজিদের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সরকারি খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা কলেজে জামে মসজিদের সহ-সভাপতি, গাজীরহাট প্রগতি সংঘের সাধারণ সম্পাদক, দেবীশহর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বিলকিস বানু’র স্বামী, সদালাপী, সৎ, নিষ্ঠাবান ও কর্তব্যপরায়ণ ব্যক্তিত্ব মরহুম মো. মইনুদ্দিন খানের নামাজে জানাজায় আরো উপস্থিত ছিলেন মরহুমের ছোট ভাই সিরাজুল ইসলাম, ভগ্নিপতি, শ্যালক, বিয়াই, অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন, সরকারি খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা কলেজের বর্তমান ও প্রাক্তন বিভিন্ন শিক্ষক-কর্মচারী,বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীবৃন্দ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সহকর্মীবৃন্দ, বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, প্রতিবেশী, সংবাদকর্মী,মুক্তিযোদ্ধা, শুভাকাঙ্ক্ষী তথা নানা শ্রেণি-পেশার প্রায় ৫ হাজার মুসল্লী।
মরহুম মইনুদ্দিন খান’র মরদেহ ১০ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টায় ঢাকার ল্যাব এইড হাসপাতাল থেকে দেবীশহর বাড়িতে পৌঁছানোর পর থেকে তার মুখ খানি একনজর দেখতে ও পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানাতে গত ২ দিন বিভিন্ন সময়ে উল্লেখিত বক্তা ও শুভাকাঙ্খীগণ ছাড়াও বাড়ীতে ছুটে আসেন স্থানীয় সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আলহাজ্জ অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক, দেবহাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্জ মুজিবর রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ বি এম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক (প্রশাসন) ও মরহুমের আত্মীয় ডা: আবুল কালাম আজাদ, সরকারি খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মোল্লা সাবীর হোসেন সহ অন্যান্য শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দ, আলহাজ্জ রফিকুল ইসলাম, অধ্যক্ষ আবুল কালাম, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আলহাজ্জ কে এম আনিসুজ্জামান কালাম, নলতা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা পরিষদ সদস্য এস এম আসাদুর রহমান সেলিম, বি এন পি নেতা মহিউদ্দিন সিদ্দীকি সহ নানা শ্রেণি-পেশা ও ধর্ম-বর্ণের নারী,পুরুষ,শিশু।
একজন ভালো মানুষের বিদায়ে উপস্থিত সকলে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তার সহধর্মিণী সহ অন্যান্য শুভাকাঙ্ক্ষীদের মুহুর মুহুর কান্নায় এলাকার বাতাস ভারী হয়ে ওঠে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন থেকে শারীরিক সমস্যা ও চিকিৎসা সেবা অব্যাহত থাকলেও বেশকিছু দিন যাবৎ শ্বাসকষ্ট,নিউমোনিয়া সহ অন্যান্য সমস্যা বিরাজ করতে থাকলে ২ দফা ঢাকার ল্যাব এইড হাসপাতালে ভর্তি হন মইনুদ্দিন খান। সেখানে তার ১ম পর্বের চিকিৎসায় অবস্থা ভালো হওয়ায় প্রায় ১৪ দিন শেষে রিলিজ দেয়া হয়।
রিলিজ পেয়ে এ্যাম্বুলেন্সযোগে বাড়ীতে আসার ২ দিনের মধ্যে শারীরিক অবস্থার আবার অবনতি হলে ঢাকার ল্যাব এইড হাসপাতালে পুণরায় ভর্তি করলে দিন দিন অবস্থার অারো অবনতি হওয়ায় প্রথমে আইসিইউতে এবং শেষ পর্যায়ে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮.২০ মিনিটে সকলকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান।
মৃত্যু্কালে মো. মইনুদ্দিন খান পিতা-মাতা, স্ত্রী, ১ পুত্র, ১কন্যা, ২ভাই, ১ বোন সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী ও শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে যান।