ভারত থেকে নিউজ দাতা মনোয়ার ইমামঃ
সম্প্রতি ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের উদুপিতে একটি কলেজে এক মুসলিম ছাত্রীকে হিজাব পরে কলেজে আসা কে কেন্দ্র উত্তাল গোটা দেশ। এবং ধিক্কারের বন্যা বইছে ভারতের বাইরে। সেই দিন ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের উদুপিতে একটি কলেজে এক মুসলিম ছাত্রী মুসকান খান তার বাইক নিয়ে যখন ভিতরে প্রবেশ করে, ঠিক তখনই একদল আর এস এস ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ছাত্ররা প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। এবং তারা রিতিমত ধেয়ে আসতে থাকলে তখনই ঐ মুসলিম ছাত্রী মুসকান খান দৃঢ়ভাবে মহান আল্লাহ হু আকবার বলে নারা দিতে থাকে। সেই ঘটনার পর ভিডিও টি ভাইরাল হতে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে সারা বিশ্বের সহিত ভারতের বিভিন্ন যায়গায়। এই ঘটনার তিব্র প্রতিবাদ করেন ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সদস্যরা এবং তাদের সাথে সাথ দেয় বিজেপি ও তৃনমূল দলের সদস্যরা বাদে সব দলের সদস্যরা। এবং লোকসভা ও রাজ্যসভার সদস্যরা। সবাই জানে ভারতের বি জে পি দল আর এস এস এর নির্দেশ মেনে চলে। তাই তারা লোকসভা ও রাজ্যসভার নীরব ভূমিকা পালন করে। কিন্তু পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন মুসলিম দরদী বলে মনে করেন, তখন তার দলের সদস্যরা লোকসভা ও রাজ্যসভার নীরব থাকেন এবং বিরোধী দলের লক আউট মত না দিয়ে সরকার পক্ষে সাথে লোকসভার লবীতে বসে থাকেন। এই ঘটনার পর ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ও ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের নেত্রী শ্রীমতী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বলেন যে কোন মহিলা জিন পরবেন ও কোন মহিলা কাপড় ও সালোয়ার কামিজ পরবে এবং কোন মহিলা হিজাব পরে আসবে তা ঠিক করবে বি জে পি ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যাপীঠের কর্মীরা। এটি হতে পারে না। এই হিজাব নিয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে বিচার চলছে। এই পরিস্থিতিতে আজ ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের নেতা ও কর্নাটক রাজ্যের বেঙ্গালুরুর বিধান সভার সদস্য জনাব জমির আহমেদ বলেন যে দেশে হিজাব ও পর্দা না থাকার কারণে দিনের পর দিন দেশে ধর্ষণের শিকার ও শারীরিক অত্যাচারের শিকার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশে হিজাব পরা ও পর্দা প্রথা প্রচীন কাল থেকে হয়ে আসছে। তা বন্ধ করা যায় না। তাছাড়া কোন মহিলা কি পরবেন সেটা তার ব্যক্তিগত স্বাধীনতার বিষয়। এই প্রথা কে বন্ধ করা যায় না। আজকের ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের নেতা ও কর্নাটক রাজ্যের বেঙ্গালুরু র বিধায়ক জনাব জমির আহমেদ কথায় শোরগোল পড়ে গেছে সারা ভারতের বিভিন্ন যায়গায়।।