জানা যায়, করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সোনারগাঁ উপজেলার তরুণরা ঝুঁকছে কক ও সোনালি মুরগি পালনে। বাজারে কক ও সোনালি মুরগির চাহিদা ও এর পালন তুলনামূলক সহজ হওয়ায় এটি পালনে আগ্রহী হচ্ছেন তারা। ইতোমধ্যেই অনেক তরুণ উদ্যোক্তা কক ও সোনালি মুরগি পালনে স্বাবলম্বী হয়েছেন।
এদিকে উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, ঘরের ছাদে, বসতবাড়ির আঙ্গিনা, পুকুর পাড়সহ খালি জায়গায় গড়ে উঠেছে অসংখ্য মুরগির ফার্ম।
এমনি একজন উদ্যোক্তা বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের মন্নার বাগের হাসেম মিয়া। তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। তাই বাড়ির আঙ্গিনার খালি জায়গায় সোনালি ও কক মুরগির ফার্ম করেছি। এ পর্যন্ত তিন বার বাচ্চা তুলে প্রতিবারেই ৭০ থেকে ৭৫ হাজার টাকা লাভ হয়েছে।
একই উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়নের মনায় কান্দি গ্রামের আর এক তরুণ উদ্যোক্তা জানান, বসে না থেকে অবসর সময় টা কাজে লাগানোর ইচ্ছে থেকেই কক ও সোনালি মুরগি পালন শুরু করি। প্রথমদিকে কক ও সোনালী মুরগি পালনের ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কাজগুলো সঠিকভাবে করতে না পারলেও পরবর্তীতে অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে আয়ত্ত্ব করার চেষ্টা করেছি। বর্তমানে প্রতিটি শেডে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা লাভ করেছি। সামনের ফার্মের আকার আরও বৃদ্ধি করবেন বলেও তিনি জানান।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আহসান হাবিব বলেন, দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তরুণেরা বিশেষ করে কলেজ শিক্ষার্থীরা মুরগী পালনে ঝুঁকছে। নতুন তরুণ উদ্যোক্তা যারা সোনালী মুরগি পালন করতে চায় তাদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও অন্যান্য সাহায্য-সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।