গাজী এনামুল হক( লিটন)
স্টাফ রিপোর্টারঃ
পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এম মতিউর রহমানের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হামলাকারীরা উপজেলা চেয়ারম্যানের সরকারি গাড়ি ভাঙচুর করেছে।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে ইন্দুরকানী উপজেলা পরিষদের গেটে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
অ্যাডভোকেট এম মতিউর রহমান জানান, রাত ৮টার দিকে তিনি গাড়িতে করে উপজেলা থেকে বের হচ্ছিলেন। উপজেলার গেটে স্থানীয় সজিবসহ অপরিচিত কয়েকজন তার গাড়ির গতিরোধ করতে হাত তোলে। তিনি গাড়ি থামালে হঠাৎ করে সজিব গাড়ির গ্লাসের ফাঁকা থেকে তাকে ঘুসি মারতে শুরু করে। এরপর হামলা চালিয়ে গাড়ির গ্লাস ভেঙ্গে ফেলে। হামলাকারী সজিবের সাথে তার রাজনৈতিক বা ব্যক্তিগত কোনো বিরোধ নেই বলেও জানান তিনি। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ইন্ধনে এ হামলা চালানো হয়েছে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়েছে বলে জানান মতিউর রহমান।
তবে হামলার সময় সজীবের সাথে থাকা উত্তম কুমার নামে একজন জানান, আমি কয়েক মাস আগে সরকারি ঘর পাওয়ার জন্য উপজেলা চেয়ারম্যানকে ২০ হাজার টাকা দেই। ঘর বরাদ্দ না পাওয়ায় সজিব হাওলাদারকে নিয়ে চেয়ারম্যানের কাছে জানতে গেলে তিনি আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। এ সময় সজিবের সঙ্গে চেয়ারম্যানের মারামারির ঘটনা ঘটে।
এদিকে, হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা।
ইন্দুরকানী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) লুৎফুন্নেসা খানম জানান, একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির ওপর এ ধরনের হামলা ও সরকারি গাড়ি ভাংচুরের মতো ঘটনা নিন্দনীয়। থানার অফিসার ইন চার্জকে (ওসি) বিষয়টি গুরুত্বের সাথে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
ইন্দুরকানী থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) এনামুল কবির জানান, হামলার ঘটনা শুনে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কারা জড়িত এবং কারণ কি তা জানার চেষ্টা করছি। তবে হামলার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ এখনও পাইনি।
ঘরের জন্য টাকা নেয়ার বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মতিউর রহমান জানান, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। হামলার পরে টাকা নেয়ার কথা বলে আমাকে বিব্রত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।