মাজহারুল রাসেল : সোনারগাঁ উপজেলায় মাহে রমজান উপলক্ষে বাসষ্ট্যান্ড, মার্কেট এলাকায় ও বিভিন্ন রেষ্টুরেন্টের সামনে ফুটপাতে ইফতারের দোকানগুলোকে ক্রেতাদের ভিড়ে হিমসীম খাচ্ছে দোকানিরা।
রমজানকে ঘিরে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জমজমাট ফুটপাথে ইফতারের দোকানগুলো। ইফতারের নানা আয়োজনে পসরা সাজানো থাকে বিভিন্ন বাসষ্ট্যান্ড, মার্কেট ও রেস্তোরাঁর সামনে বসা ফুটপাথে। এতে প্রতিদিন বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করেন দোকানিরা। তুলনামূলক দামি রেস্তরাঁ ও ফাস্টফুডের চেয়ে ফুটপাতে দাম কম হওয়ায় এসব দোকানে ভিড় করেন বিভিন্ন শ্রেণির মানুষজন।
খেজুর, শরবত, ছোলা, মুড়ি, পিয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ ইফতারের প্রধান আয়োজন। এ জন্য ফুটপাথের দোকানে এসব ইফতার সামগ্রীর রমরমা চাহিদা রয়েছে। উপজেলার মোগরাপাড়া, মদনপুর, কাঁচপুর সহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন ফলের দোকানে বিভিন্ন মানের খেজুর ১৫০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এদিকে ফুটপাথের দোকানে ২৫০ গ্রাম মুড়ি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, প্রতি পিস পিয়াজু ৫ টাকা, বেগুনি ও আলুর চপ ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা, ছোলা ১০০ গ্রাম ১৫ টাকা, জিলাপি ২৫০ গ্রাম ৩০ টাকা, বুরিন্দা ১০০ গ্রাম ১০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে এসব ইফতার সামগ্রীর দাম একদিকে যেমন বেশী অপরদিকে এর আকারও কিছুটা ছোট করা হয়েছে।
সারাদিন রোজা রেখে ইফতার সামগ্রীতে বিভিন্ন ফলমূলের আয়োজন করা হয়। এরমধ্যে অন্যতম তরমুজ, আপেল, মালটা, পেয়ারা, আনারস, পাকা পেঁপে ও বাঙ্গি, কলা । তাই ফলের দোকানগুলোও জমজমাট হয়ে উঠেছে। রমজান উপলক্ষে ফলের দোকানিরা বেশী দামে বিক্রি করছে।
মজাদার ইফতার সামগ্রী কিনতে আসা ক্রেতারা বলছেন, বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে তারা চাইলেও খুব বেশি আয়োজন করে ইফতার করতে পারেন না। মুড়ি, ছোলা, পিয়াজু, আলুর চপ, বেগুনি, লেবুর শরবত আর যেকোনো এক প্রকারের ফল দিয়েই তাদের ইফতার করতে হয়। মো.হারুন নামে এক ক্রেতা বলেন, রোজায় সবারই একটু বাড়তি খরচ করতে হয়। কিন্তু এখন বাজারে জিনিসপত্রের দাম অনেক বাড়তি। আমাদের অনেক হিসাব-নিকাশ করে চলতে হয়। চাইলেও মনমতো ইফতার করতে পারি না।
মোগরাপাড়া চৌরাস্তার ইফতার ক্রেতা উজ্জল মিয়া বলেন, সারাদিন রোজা রেখে পর্যাপ্ত ভিটামিন সরবরাহের জন্য ফল খাওয়া প্রয়োজন । কিন্তু আমরা একটা বা দুইটার বেশি ফল খাইতে পারি না। আমাদের বাজেটে হয় না। ইফতারে বেশি টাকা খরচ হলে আবার মাসের বাজার খরচ চালানো কঠিন হয়ে যাবে। কারণ বর্তমান বাজারে নিত্যপণ্যের সাথে খাদ্য-সামগ্রীর মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে এমনিতেই আমরা দিশেহারা। আবার সামনে ঈদ।