মোঃ শামীম জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী।
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ ২০১৪ সালের ১০ই জানুয়ারি বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা উক্ত মেডিকেল কলেজ উদ্ভোধন করেন। উক্ত পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের একাডেমি, ২৫০সয্যা হাসপাতাল, ছাএ হোষ্টেল, ছাএী হোষ্টেল সহ একাধিক ভবন কাজের মেয়াদ অতিক্রম হয়েও অতিবাহিত হয়েগেছে এবং সকল ভবন বিগত কয়েক মাস আগে কার্যক্রম সম্পর্ন হয়।
উক্ত ভবন গুলোটিতে বিদুৎ, পানির সংযোগ না থাকার অযুহাত দেখিয়ে পটুয়াখালী জেলা গনপূর্ত এরিয়ে যায় এবং পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ ফয়জুল বাসার স্যার একাধিক বার পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের প্রকল্প পরিচালক সহ গনপৃর্ত বিভাগের সাথে যোগাযোগ করেন এবং পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী বেড়ে যাওয়ার জন্য উক্ত ভবন গুলো হস্তান্তরের অনুরোধ করেন।
বর্তমানে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের প্রায় ৩০০ এর অধিক শিক্ষার্থী রয়েছে এবং এরা বতর্মানে অস্হায়ী জনাকীর্ণ পুরানো পরিতিক্ত ভবনে জীবন যাপন করিতেছে যা শিক্ষার্থীদের জন্য যুকিপূর্ন যে কোন সময় হতে পারে বড় কোন দূর্রঘটনা। এরই প্রেক্ষিতে গত ২৬শে সেপ্টেম্বর ২০২১ ইং তারিখে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত সিনিয়র সচিব মহোদয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহোদয় সহ সংশ্লিষ্ট উধ্বর্তন কর্মকর্তা গন পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামগ্রিক নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে আসেন। তাদের কাছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনের মাধ্যমে নির্মাণকৃত ছাএাবাস সমূহ দ্রততম সময়ে হস্তান্তরের দাবি জানায়। তখন মাননীয় সচিব মহদয় সহ উপস্থিত কর্মকর্তাগন সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে বৈদুৎতিক সাবষ্টেশন নির্মানের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ সহ একমাসের মধ্যে তা বাস্তবায়ন করার আশ্বাস দেন। তাদের আশ্বাসের ভিক্তিতে শিক্ষার্থীগন মানববন্ধন থেকে সরে আসে।
কিন্তুু ছয় মাস অতিবাহিত হওয়ার পর ও উক্ত আশ্বাসের কোন প্রতিফলন শিক্ষার্থীগন পায়নি। গত ৫ই এপ্রিল ২০২২ইং তারিখে একটি পুরানো পরিত্যক্ত সংস্করণকৃত ভবন যা বর্তমানে ছাএাবাস হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে সেখানে একটি দূর্ঘটনা ঘটে। একটি রুমের ছাদ থেকে বড় আকারের কয়েকটি পলেস্তারা বিছানার উপরে ধ্বসে পড়ে কিন্তুু সৌভাগ্যক্রেমে ঐ রুমে অবস্থানকৃত ছাএ র্দূঘটনার সময় উপস্থিত ছিল না।
যার ফলশ্রুতিতে শিক্ষার্থীগন দাবি আদায়ের লক্ষে আন্দোলনের ডাক দেন।
শিক্ষার্থীদের দাবি একটাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের স্হায়ী ছাএাবাস সহ সকল কার্যকর ভবন গুলি হস্তান্তর চায়। এবং আজ সকালবেলা ১০.০০ সময়ে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের সকল ক্লাস বর্জন করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ শাখার প্রশাসনিক শাখা সহ পটুয়াখালী জেলা গনপূর্ত সহ পটুয়াখালী জেলার জেলা প্রশাসক মহদয়ের কাছে স্বারক লিপি প্রদান করেন এবং মানবন্ধন করেন।