জাকির হোসেন আজাদী: “দোলা রে দোলা প্রাণেতে দোলা /বাংলা ঢোলের তালে তালে,/ আয় তোরা আয় হারাতে /মন চায় মেলায় যাবো দলে দলে,/
আরে উতলা মন সবে লেগেছে উৎসবে / আমার সারা বাংলাতে” এমন সব অসাধারণ কথা সমৃদ্ধ গানে কণ্ঠ দিয়ে অসম্ভব সুন্দর গায়কীর মাধ্যমে দর্শক শ্রোতাদের মন জয় করে নিয়েছেন হালের জনপ্রিয় শিল্পী মহুয়া লিপি।
গানটির বিষয়ে শিল্পী মহুয়া লিপির সাথে কথা হয়। তখন তিনি বলেন, “আমি ছোট বেলা থেকে গান করে আসছি । ২০০৬ থেকে সরকারি তালিকা ভুক্ত হয়ে সুনামের সাথে গান গেয়ে চলছি… পাশাপাশি বিভিন্ন চ্যানেল এ ও গেয়ে যাচ্ছি। এর মধ্যে আমি হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত নিয়ে একটা বৈশাখি গান করার ইচ্ছে করি এই গান টির গীতিকার রেজা শানু ও সুরকার মিউজিক কম্পোজার দেশের বিখ্যাত মান্নান মোহামমদ। আৃমার বেশির ভাগ গানের মিউজিক করেছেন তিনি। বৈশাখের এই অসাধারণ গানটি আমাকে শিল্পী মহুয়া লিপি হিসেবে সর্বত্র পরিচিত হতে ব্যাপক সহায়তা করেছে”
মূলত: বাংলা সনের প্রথম মাস হিসেবে বৈশাখকে নিয়ে বাঙালির জীবনে অফুরান উচ্ছ্বাস, আবেগ আর ভালোবাসা। বৈশাখের শুরুতেই বাঙালি এই মাসকে হৃদয়ের গভীরের যত ভালোবাসা আছে তা নিয়ে বরণ করে নেয়। বৈশাখ নিয়ে বাঙালি জনমানসে রয়েছে আলাদা এক জায়গা।
নানা কারণে বৈশাখ আমাদেরকে আলোড়িত করে। বৈশাখ তার নিজস্ব ঢঙে মানুষকে উদ্দীপিত করে। একইসঙ্গে বৈশাখের উন্মাতাল রূপ প্রকৃতিকে ভিন্নমাত্রাও এনে দেয়। আনে নতুন প্রাণের ছন্দ। বৈশাখ প্রকৃতির মাঝেও সঞ্চার করে নব বার্তার। নব সৃষ্টির গান। বৈশাখের ছোঁয়ায় প্রকৃতিও যেন তখন মেতে ওঠে চৈতালীনন্দে। এসবের বিপরীতে প্রখর গ্রীষ্মের বৈশাখ তার বহু বিচিত্র রূপে, শক্তিতে প্রকৃতিকে বিপর্যস্ত করে অন্যদিকে সাধারণের মধ্যে নতুন এক বার্তা পৌঁছে দেয়।
গানটির লিরিক্স :
আরে তোল তোল মুখে বোল
খেমটা নাচে কোমর দোল
আয় তোরা যাই
সবাই মিলে একসাথে ঢোল
বাজে ঢোল বাজে বৈশাখি মেলাতে
দোলা রে দোলা প্রাণেতে দোলা
বাংলা ঢোলের তালে তালে,
আয় তোরা আয় হারাতে
মন চায় মেলায় যাবো দলে দলে,
আরে উতলা মন সবে লেগেছে উৎসবে
আমার সারা বাংলাতে
ছোট বড় সব একই অনুভব
কত রঙের ছড়া ছড়ি
পান্তা ভাতে ইলিশ মাছে
করে সবাই কাড়াকাড়ি
আরে খুশিতে সারাক্ষণ নাচে রে
নাচে মন বৈশাখের হাওয়াতে
গীতিকার : রেজা শানু
সুরকার ও মিউজিক কম্পোজার : মান্নান মোহামমদ।
শিল্পী : মহুয়া লিপি।