মোল্লা তানিয়া ইসলাম তমাঃ আমরা বর্তমান প্রজন্মের যেসব কীর্তিমান মানুষদের নিয়ে গর্ব করি, যুবলীগ কর্মী মোঃ তৈয়্যবুর রহমান তাদের মধ্যে অন্যতম । সব্যসাচী ঘরানার এ কর্মবীর মানুষটি জীবনের প্রতিটি কাজে রেখে যাচ্ছেন অসাধারণ অবদান । জীবনের প্রথম দিক থেকেই তিনি রাজ পথের লড়াকু সৈনিক হিসাবে কাজ শুরু করেন । ঢাকা শহরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে প্রায় প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে তার অনুসারী বিশাল কর্মীদের বহর নিয়ে অংশগ্রহণ করেছেন এবং বহুবার হয়েছেন হামলার শিকার । তিনি জাতির পিতার আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে তার পিতার নেতৃত্বেই রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরু করেন । বর্তমানে তার রাজনীতির মূল অঙ্গন হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী- যুবলীগের অধীনে । তার জন্ম ১৯৮৫ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারি, রাজধানীর তুরাগের নলভোগ এলাকার একটি রাজনৈতিক মুসলিম পরিবারে । মেধাবী ও সাহসী মোঃ তৈয়্যবুর রহমান খুব অল্প বয়স থেকেই সমাজকর্ম ও রাজনীতিতে জড়িয়ে যান । কর্মগুণে খুব সহজেই তিনি নিজ এলাকার সর্বস্তরের মানুষের কাছে প্রিয়জন হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছেন । তুরাগের আওয়ামী- যুবলীগের একজন সাহসী কর্মী হিসাবে তার রাজনীতি অঙ্গনে রয়েছে ব্যাপক সুনাম । রাজনীতি ও ব্যবসার পাশাপাশি তিনি সামাজিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত থাকেন সবসময় । বিগত মহামারি করনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরাকার যতবার লকডাউন দিয়েছে তখন গৃহবন্ধি অসহায়দের দুয়ারে রাতে এবং দিনে তার সাধ্যমত বিভিন্ন ত্রাণ নিয়ে ছুটেছেন তাদের দুয়ারে । নিজে হ্যান্ড মাইক দ্বারা মাকিং করেছেন এলাকার মানুষজনকে সচেতন করার জন্য প্রতিটি পাড়া- মহল্লায় । সরকারি প্রতিটি বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন এলাকার জনগনের মাঝে । তাই এলাকার মানুষ তাকে মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবেই চিনেন এবং ভাল বাসেন । তাছাড়া মানুষের যে কোন সমস্যায় ছুটে চলেন সবার আগে । বর্তমানে পবিত্র মাহে রমজানের শুরু থেকেই ইফতারের কিছুক্ষণ আগেই স্থানীয় যুবলীগের নেতাকর্মীদের সহয়তায় দুই শতাধিক ইফতারির প্যাকেট নিয়ে বেড়িয়ে পড়েন রাস্তায় । তারপর তিনি নিজ হাতে রিকশা, সিএনজি ও ভ্যানচালক, ছিন্নমূল মানুষ এবং পথচারীদের মাঝে ইফতারির প্যাকেট বিতরণ করেন এবং তাদের সাথে রাস্তায় দাড়িয়েই তিনি ইফতার সারেন । প্রতিটি প্যাকেটে থাকে খিচুড়ি, সালাদ, খেজুর ও পানি । অপ্রত্যাশিতভাবে ইফতার পেয়ে খুশি হন পথচারী ও নিন্ম আয়ের রোজাদারগন । তারা যুবলীগ কর্মী মোঃ তৈয়্যবুর রহমানের এমন উদ্যোগকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান । এক প্রশ্নের জবাবে মোঃ তৈয়্যবুর রহমান বলেন, রমজান মাস মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত ফজিলতের মাস। তাই আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করছি ছিন্নমূল অসহয়দের মাঝে একটু ইফতারি পৌঁছে দিতে, এতে কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন তারা । বাংলাদেশ যুবলীগ সব সময় অসহায় মানুষের পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে । সরকারের কল্যাণমুখী সহযোগিতা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতেও বাংলাদেশ যুবলীগ বদ্ধপরিকর । তিনি সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের অধিকার বাস্তবায়নে সর্বদা সোচ্চার । নিজ এলাকার বঞ্চিত, অবহেলিত, শোষিত মানুষের সঙ্গে একাত্ম হয়ে কাজ করে চলছেন । এলাকার মানুষের সঙ্গে আন্তরিক ও প্রাণবন্ত ব্যবহার করেন । নিয়মিত খেটে খাওয়া মানুষদের সুখ-দুঃখের খবরাখবর রাখেন । ফলে এসব খেটে খাওয়া মানুষই হয়ে ওঠেছে তার পরম শক্তি, তারাই দেয় এগিয়ে চলার সাহস । কাজের ব্যাপারে আন্তরিকতা ও সুশাসক হওয়ার কারণে এলাকার মানুষের কাছে তিনি হয়ে ওঠেছেন খুবই প্রিয়জন । রাজনৈতিক দায়িত্বের বাইরেও জনসেবায় তিনি নজিরবিহীন অবদান রেখে চলছেন । সত্য ও ন্যায়ের বিষয়ে নিজেকে অবিচল রাখার কারণে এলাকায় হয়ে উঠেছেন জাতির পিতার আদর্শে ৫৩নং ওয়ার্ডের যুবলীগের যোগ্য কর্মী ।