ষোড়শ ও সপ্তাদশ শতকে ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড এবং ওয়েলস্ এ প্রচলিত শাস্তিরীতি.. যারা ক্রমাগত ঝগড়াঝাঁটি, বকাঝকা করতো বা করতেই থাকতো তথা জবানের কোন লাগাম ছিলোনা তাদের মুখের রাস টেনে ধরতেই ঘোড়ার লাগামের ন্যায় এই সরঞ্জাম ব্যবহারের চল ছিলো। তাতে মুখ ঢেকে রাখার জন্য লাগামের ন্যায় হেডষ্টল ও থাকতো। যে সমস্ত মহিলারা অপ্রীতিকর, পরচর্চা, বকাঝকা, ঝগড়াঝাঁটি, তিরস্কার কিংবা আগ্রাসী আচরন করতো তাদের এই লাগাম পরিয়ে এলাকা ঘোরানো হতো। স্থানীয় প্রবিণেরা শালিসি বৈঠকে নাকি এমন শাস্তি আরোপ করতো। একে গসিপের লাগাম, ব্র্যাঙ্কের লাগাম বা ব্র্যাঙ্কও বলা হত। অভাগা স্বামীদেরকেই অভিযুক্তের রাস টেনে পাড়া ঘোরানোর গুরুদায়িত্ব পালন করতে হতো। জার্মানিতে নাকি এর সঙ্গে ঘন্টাও ঝোলানোরও রীতি ছিলো…!
সে কালেই বোধহয়, “The taming of the shrew” বইটিও রচনা হয়েছিলো।
পুনশ্চ: বাঙ্গালী ধৈর্যশীল যুগে যুগে,, সে কালেও… একালেও। বোধকরি সেকারনেই রেট অফ সেপারেশন এখনও বিশ্বে সর্বনিস্ন,, স্যালুট টু বাঙ্গালী ♥♥
*** সতর্কীকরণ : এই পোষ্ট কাউকে দেখিয়ে ঝুঁকি নেয়া নিষেধ।
লেখকঃ বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির আইন প্রশিক্ষক হাসান হাফিজুর রহমান।