মোঃ শামীম জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালীঃ
আজ ৬৯নং মধ্য যৌতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হঠাৎ উপস্থিত দশমিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মোঃ মহিউদ্দিন আল হেলাল।
সময় দুপুর ২ঃ০৪ মিনিট। ২১/০৫/২০২২
আউলিয়াপুরে জাইকার অর্থায়নে আয়োজিত গর্ভবতী মায়েদের প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারী নিশ্চিতকরণ সচেতনামূলক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ শেষে ফেরার পথে মধ্য যৌতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনের উদ্দেশে গাড়ী থামান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল।
গাড়ী থেকে নেমে ভিতরে প্রবেশ করে শিক্ষক শিক্ষার্থী কাউকে পেলেন না। নেই লাল সবুজের জাতীয় পতাকা। কিছুক্ষণ নির্বাক দাঁড়িয়ে রইলেন। তিনি ভেবেছিলেন কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কোলাহলে মুখরিত থাকবে বিদ্যালয়। ঘটলো ঠিক তার উল্টোটা। বিদ্যালয়ের মাঠে দেখতে পেলেন দুইটি খড়ের গাদা।দেখলেন বিদ্যালয়ের ক্লাসরুমে রাখা হয়েছে ধানের বস্তা। মনে হলো এগুলো কোন শিক্ষা উপকরণ যা যত্ন করে বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে রাখা হয়েছে। বিবেকবান শিক্ষকেরা কিভাবে ২ঃ০৪ মিনিটের সময় স্কুলের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে চলে যেতে পারলেন সেটা তিনি নিজেকে প্রশ্ন করে উত্তর খুঁজে পাচ্ছিলেন না। তিনি অবাক হলেন, বিস্ময় প্রকাশ করলেন। জাতি গড়ার কারিগরদের এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ডে তিনি কিংকর্তব্যবিমূঢ়।
কারণ ঠিক তার আগের দিন ওই স্কুল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন পটুয়াখালী জেলার মান্যবর জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোহাম্মদ কামাল হোসেন। তিনি স্কুলের সার্বিক কর্মকাণ্ড পরিদর্শন করে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। প্রাথমিক বিদ্যালয় হচ্ছে শিক্ষার ভিত্তি। সেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এমন বেহাল দশা দেখে উপজেলা নির্বাহী অফিসার চরম হতাশা প্রকাশ করেন।
ইউএনও দশমিনা মহোদয় বলেন
“শিক্ষক, অভিভাবক সহ সচেতন নাগরিক শিক্ষার মানোন্নয়নে এগিয়ে না আসলে এরকম ভঙ্গুর অবস্থা থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়। আসুন প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে আমরা সবাই সোচ্চার হই”।