“বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই -স্লোগান নিয়ে নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে টমটম যোগে টেকনাফ হতে উখিয়া শহরের দিকে আসছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল কক্সবাজার জেলার উখিয়া-টেকনাফ রোডে অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন করে গাড়ি তল্লাশি শুরু করে। এ সময় একটি টমটম তল্লাশী করে আসামী ১। মোঃ ইসমাইল @জয়নাল (২২), পিতা- মৃত সৈয়দ কাশেম, সাং-বালুখালী, থানা-উখিয়া, জেলা- কক্সবাজার ২। মোঃ জসিম উদ্দিন (২৫), পিতা-মোঃ ইসমাঈল, সাং-খারাইংগোনা, থানা-উখিয়া, জেলা- কক্সবাজার এবং ৩। জোবায়েদ উদ্দিন (২১) , পিতা- নুর মোহাম্মদ, সাং- গুনারপাড়া, থানা-উখিয়া, জেলা- কক্সবাজার’দের আটক করে। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে ১ নং আসামী ইসমাইল @জয়নাল এর নিজ হাতে বের করে দেয়ামতে প্লাষ্টিকের বস্তার ভিতরে ইট সাদৃস্য স্কচটেপ ও কাগজ দ্বারা মোড়ানো অবস্থায় মোট ১ লাখ ৭০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারসহ আসামীদের’কে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ মায়ানমার সীমান্ত হতে ইয়াবা সরবরাহকারী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ইয়াবা সংগ্রহ পূর্বক পরবর্তীতে তা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম এবং ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট পাচার করে আসছে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ০৫ কোটি ১০ লক্ষ টাকা।
গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।