আশফাক আহমেদ, বাহরাইন প্রতিনিধি:
করোনা কালীন সময়ে বাংলাদেশে ছুটিতে গিয়ে প্রায় তিন হাজারের বেশি প্রবাসী শ্রমিকের ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ায় নিজ কর্মস্থলে ফিরতে পারেনি গেলো দুই বছর, অনেক প্রতীক্ষার পর অবশেষে মান্যবর রাষ্ট্রদূতের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে প্রবাসীরা,
আটকে পড়া প্রবাসীদের বাহরাইনে ফিরিয়ে নিতে বাহরাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদুত ড. মো. নজরুল ইসলাম, বাহরাইনের রাজা, ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী,পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, শ্রম মন্ত্রণালয়, এল এম আর সহ সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দফায় দফায় মিটিং করেন। ফলে প্রথম ধাপে আটকেপড়া ১৬১জনকে বাহরাইনে ফেরার অনুমতি প্রদান করেছে বাহরাইন সরকার বুধবার দূতাবাসে সাংবাদিকদের এ কথা জানান রাষ্ট্রদূত।
মান্যবর রাষ্ট্রদূত বলেন, যারা ২০২১ সালের (নভেম্বর) মাসে দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং যাদের মালিক তাদের কর্মীদের নিতে আগ্রহী হয়ে দূতাবাসে লিখিত আবেদন করেন, আবেদনকৃত ১৬১জনকে বাহরাইনে ফিরতে সুযোগ দিয়েছেন সে দেশের সরকার,তালিকাভুক্ত এসব বাংলাদেশিদের প্রথমে ভিজিট ভিসায় বাহরাইনে যেতে হবে।
আটকে পড়াদের মধ্যে যারা বাহরাইনে আসতে ইচ্ছুক তারা বর্তমানে ভিজিট ভিসার মাধ্যমে বাহরাইনে আসতে হবে, তবে এ ভিসাটি অবশ্যই উনার প্রাক্তন স্পনসর এপ্লাই করতে হবে, এই ভিজিট ভিসার অ্যাপ্লিকেশন নাম্বারটি দূতাবাসের ই-মেইলে ( mission.manama@mofa.gov.bd )
এবং হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে (+ ১৭৩-৩৩৩৭৫১৫৫ )
পাঠিয়ে দিতে হবে, দূতাবাস ওই কর্মীকে ভিজিট ভিসা প্রদানের জন্য বাহরাইন কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানাবে,
ভিসা প্রাপ্তির পর বাহরাইনে গিয়ে স্পন্সর/মালিকের আওতায় ওয়ার্ক ভিসায় ট্রান্সফার করতে পারবেন। তালিকাভুক্ত কর্মীদের সঙ্গে দূতাবাস যোগাযোগ করবে। তবে এ বিষয়ে কোনো দালালের শরণাপন্ন না হতে বাংলাদেশ দূতাবাস বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, কভিড মহামারীর মধ্যে দেশে ফিরে আটকাপড়া বাংলাদেশিরা বাহরাইনে ফিরতে পারছিলেন না। এ সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ সরকার এবং দূতাবাস উদ্যোগ নেয়। এরপর বাহরাইন সরকারের ইতিবাচক ইঙ্গিত পাওয়ার পর ফিরতে ইচ্ছুক প্রবাসীদের নিবন্ধন করতে বলা হয়।
রাষ্ট্রদূত ড. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, বাহরাইনে ফেরার জন্য যে ৯৬৭ জন নিবন্ধন করেছিলেন তাদের মালিকপক্ষ ফিরিয়ে নিতে ইচ্ছুক এমন ১৬১ জনের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে।
১৬১জনের তালিকায় রয়েছে এমন একজনের সাথে আমরা কথা বলেছি, আনিছ আব্দুল্লাহ বলেন দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর এমন একটি সংবাদ শুনে আমি খুবই আনন্দিত এবং মান্যবর রাষ্ট্রদূত নজরুল ইসলাম স্যার কে ধন্যবাদ জানাই, তিনি প্রবাসী শ্রমিকদের পাশে রয়েছেন এবং প্রবাসীদের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন, আমি আশা রাখছি ইনশাআল্লাহ এই ছাড়াও বাকি যারা রয়েছে ধাপে ধাপে তাদেরকেও আসার সুযোগ করে দিবেন।