আরিফুল ইসলাম আশাঃ
সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়া টাউনবাজারে আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে ছোটবোন এর পৈত্রিক সম্পত্তি দোকান ঘর সংস্কারের বাঁধা ও জবরদখল করতে হামলা ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে বড়ভাইয়ের নামে।
শনিবার (১১ জুন) বেলা সাড়ে ১১টারদিকে সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়া টাউনবাজার এলাকার মৃত শেখ মাউলা বক্স এর মেয়ে তানজিরা খাতুনের পৈত্রিক সম্পত্তি দোকান ঘর সংস্কার করতে গেলে তাতে বাধা দেয়
তার বড়ভাই শেখ সিরাজুল ইসলাম এর ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা। এসময় দোকান ঘর দখলের ও চেষ্টা করে তারা।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী সাতক্ষীরা বর্ডার গার্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা তানজিরা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, ২০১৭ সালে পিতার মৃত্যুর পর থেকে আমার পৈত্রিক সম্পত্তি কাটিয়া মৌজাধীন এসএ ৫৮০ ও ডিএসএ ১৪৮০ দাগে টাউনবাজার সংলগ্ন দোকান ঘর ও ৪ শতক জমি দখলের পায়তারা করে আসছে আমার বড়ভাই অগ্রণী ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ সিরাজুল ইসলাম।
সেই থেকে বিভিন্ন ভাবে দফায় দফায় আমার পৈত্রিক সম্পত্তি জবরদখলের পায়তারা করছেন তিনি। এমনকি বড়ভাই শেখ সিরাজুল ইসলাম আমাকে ও আমার স্বামীকে বিভিন্ন মামলায় ফাঁসানো সহ হত্যার হুমকি ধামকি দিয়ে আসচ্ছেন প্রতিনিয়ত।
সেই সুত্র ধরে শনিবার সকালে আমার পৈতৃক সম্পত্তিতে অবস্থিত দোকান ঘরে সংস্কার কাজ করতে গেলে বড়ভাই শেখ সিরাজুল ইসলাম এর নির্দেশে আরেক ভাই শেখ রশীদুল ইসলাম সহ কাটিয়া লস্কর পাড়া এলাকার মৃত নুর আহমেদ নুরুর ছেলে মোঃ মাহমুদ হোসেন, মোঃ টুটুল হোসেন, মোঃ আল মামুন, মোঃ মাছুম সহ আরো ৪-৫ জন একত্রে লোহার রড, বাঁশের লাঠি ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়েএসে দোকান ঘরের সংস্কার কাজ বন্ধ করে দেয়। এসময় তারা আমাকে ও আমার স্বামী শওকত হোসেন রিপন উপরে চড়াও হয়ে মারধর করে। এসময় ফাঁড়ির পুলিশ আসলে আমরা রক্ষা পায়।
তানজিরা খাতুন আরও বলেন, এর আগে আমরা দু’দফা হামলা ও মারপিটের শিকার হয়েছি। পৈতৃক সম্পত্তি রক্ষার্থে গত ২৫ এপ্রিল সাতক্ষীরা জজ আদালতে ২২১/২২ নং দেওয়ানি মামলা করি। আদালত মামলা আমলে নিয়ে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আরপ করে। আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে আমার ভাই শেখ সিরাজুল ইসলাম ও তার লোকজন আমাদের উপরে হামলা করেছে।
এঘটনায় সাতক্ষীরা কাটিয়া ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মিজানুর রহমান বলেন, ছোটবোনের পৈতৃক সম্পত্তি জবরদখল করার চেষ্টা করছে বড়ভাই। আমরা অনেক বার বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করেছি। আজও গন্ডগোল বাধলে পুলিশ যেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে কোনো পক্ষ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। ———