মোঃ ছাবির উদ্দিন রাজুঃ
বন্দরনগরী ভৈরবে মেঘনা নদীর তীব্র স্রোত ও নদী থেকে বালু উত্তোলনের কারণে রাতে ৩টি বসতি ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে ।
এ সময় চাতাল মিলের শ্রমিক ও মিস্ত্রীসহ ২ জন নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয়েছে।নিখোঁজ ২ জন হলেন রহমত রাইছ মিলের চাতাল শ্রমিক মোস্তাক ও মিস্ত্রী শরীফ । তাদের গ্রামের বাড়ি বাজিতপুরের আয়নাগোফ বলে জানা গেছে । নিখোঁজ ২ জনকে উদ্ধারে ভৈরব ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে । এখনো পর্যন্ত তাদের উদ্ধার করা যায়নি ।
খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন ঘটনাস্থলে পৌছে পরিদর্শন করেছে । স্থানীয়রা ও চাতাল শ্রমিকরা জানান, আজ সকাল ৮ টার দিকে মেঘনা নদীর প্রবল স্রোতে হঠাৎ করে চাতাল শ্রমিকদের ৩টি বসত ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায় । এ সময় ঘরে বসবাসরত শ্রমিকরা অনেকে প্রাণ বাচাঁতে ঘর থেকে বেরিয়ে এলেইও বসত ঘর থেকে আসবাব পত্র সরিয়ে আনতে নিখোঁজ ২ জন ঘরে ঢুকলে বসত ঘর ভাঙনের সাথে তারা ও নদী গর্ভে তলিয়ে যায় । পরে খবর পেয়ে ভৈরব বাজার ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম উদ্ধার অভিযানে নামে ।
এ বিষয়ে চাতাল শ্রমিক আলাল উদ্দিন ও নিখোঁজ মোস্তাকের শাশুড়ি জানান, সকাল ৮ টার দিকে হঠাৎ নদীর গর্ভে বিলীন হয় ৩ টি বসত ঘর । এ সময় ঘর থেকে সবাই দোড়ে বের হলেও চাতাল কল মিস্ত্রী শরীফ ও শ্রমিক মোস্তাক ঘরের ভিতর থেকে ফ্রিজ আনতে গেলে বসত ঘরসহ ২ জন নদীতে পড়ে তলিয়ে যায় । আমরা এখানে প্রায় ১২/১৫ বছর যাবৎ চাতালে কাজ করছি । আমরা এখন আতঙ্কে আছি । নিখোঁজদেও উদ্ধাওে তারা সরকারের সহযোগিতা চান ।
এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান সবুজ জানান, শোনেছি গতকাল চাতাল মিলের অংশে ফাটল দেখা দেয় । কিন্ত মালিক পক্ষ কোন ব্যবস্থা নেয়নি এবং আমাদেরকে ও জানাইনি । আজ সকালে তীব্র স্রোতে ৩টি বসত ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে ২ জন ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছে । তাদের উদ্ধারে অভিযান চলছে । এছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে তাদের পরিবারকে ত্রাণ সহ আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে ।
এ বিষয়ে ভৈরব বাজার ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন অফিসার আজিজুল হক রাজন মিয়া জানান, সকালে খবর পেয়ে আমরা নিখোঁজ ২ জনদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছি । অভিযান অব্যাহত আছে ।