আফছার আহমেদ বাবলুঃ
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘নিঃস্ব আমি রিক্ত আমি দেবার কিছু নেই, আছে শুধু ভালোবাসা দিয়ে গেলাম তাই।’
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাবা-মা-ভাই হারিয়ে পেয়েছি আপনাদের। আপনাদের মাঝেই আমি ফিরে পেয়েছি আমার বাবার স্নেহ, মায়ের স্নেহ, ভাইয়ের স্নেহ। আপনাদের পাশেই আমি আছি, আপনাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। আপনাদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আমি যেকোনও ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত, এই ওয়াদা আমি দিয়ে গেলাম।’
দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য আজকের দিনটি ‘বিশেষ’ উল্লেখ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই শরীয়তপুরে যখন এসেছি, তখন কী ছিল? লঞ্চে করে এসেছি, লঞ্চ নষ্ট হয়ে গেছে। নৌকায় করে একেকটা এলাকায় গিয়েছি, মিটিং করেছি। আজকে সেই শরীয়তপুরে অবস্থা পাল্টে গেছে।
“কারণ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে রাস্তাঘাট, ব্রিজের উন্নয়ন হয়েছে। মাদারীপুরেও একই অবস্থা ছিল। গোপালগঞ্জ যেতে ২২ ঘণ্টা সময় লাগত। প্রত্যেকটা এলাকা এত দুর্গম ছিল। রাস্তাঘাট করেছি বলেই যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলে।”
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিশাল জনসভা পরিণত হয়েছিল জনসমুদ্রে।
বাঙালি জাতির জন্য এক অবিস্মরনীয় এবং ঐতিহাসিক মুহূর্ত। ইতিহাসের স্বাক্ষী হয়ে থাকল বাঙালি জাতি এবং বাংলাদেশ…
বাঙালি জাতিকে দাবায়ে না রাখার প্রতীক, গর্ব ও সক্ষমতার প্রতীক পদ্মা সেতু উদ্বোধন ও জনসভাস্থলে নড়িয়া-সখিপুর, শরীয়তপুর, দক্ষিণাঞ্চল সহ সারা বাংলাদেশের মানুষ ঐতিহাসিক এই অর্জনকে স্মরণীয় করে রাখতে এই পদ্মাপাড়ের কাঁঠালবাড়ীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ফেরিঘাটের জনসভাস্থলে ছুটে আসেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ধন্যবাদ এবং অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সারা বাংলাদেশের মানুষ।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ভালো থাকলে ভাল থাকবে বাংলাদেশের মানুষ, ভালো থাকবে বাংলাদেশ।