অনেকেই জানে আইনজীবীরা শুধু নিতেই জানে, দিতে জানে না।তাই আমি এই ধারণা বদলে দিতে চাই।
পরিশ্রম, সততা, মেধা, আন্তরিকতা ও অধ্যবসায়ের বলে পেশাগতজীবনে একজন আইনজীবী হয় এক মহীরুহ।আমার চেম্বারে এখন, জুনিয়র কয়েকজন আইনজীবী কাজ করেন। আমি প্রতিদিনই তাদের কিছু না কিছু সন্মানি দেই। তাদের উৎসাহিত করার জন্য। সাপোর্ট দেওয়ার জন্য। আমরা যদি তাদের সাপোর্ট না দেই তাদের প্র্যাকটিসের প্রতি আগ্রহ থাকবে না। এটি শিখেছি আমার সিনিয়র বাংলাদেশের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান জামান স্যারের কাছ থেকে। এভাবে আইন পেশায় কিছু প্রথা ও আদব-কায়দা আছে যা আমি ধরে রেখেছি। এগুলো নিয়েই আমি এগিয়ে এসেছি।
আমি নাজমুল হাসান আমাকে একজন আইনজীবী হিসেবে সব সময় মনে রাখতে হবে, আমি মামলায় হারতেও পারি, জিততেও পারি। তবে ক্লায়েন্ট যেন বুঝতে পারে, আমি তার জন্য সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। মামলা হারার পেছনে আমার কোনো দুর্বলতা বা চেষ্টার ঘাটতি ছিল না। মামলার মেরিটের অভাবেই সে হেরেছে- এটা যেন ক্লায়েন্ট বুঝতে পারে।
আইনজীবী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে হলে জুনিয়রশিপের বিকল্প নেই। কিন্তু তরুণরা আজ কম্পিউটারকে সিনিয়র বানিয়ে নিয়েছেন। তাঁদের বলব, ‘সিনিয়রের কাছ থেকে কাজ শিখে নাও। এখনই বড় হইও না। বড় একদিন হওয়া যাবে। তার জন্য সাধনা করো। সাফল্য এক দিনে ধরা দেয় না।
বড় হওয়ার শর্টকাট কোনো পথ নেই। এ পথ বন্ধুর। ক্লায়েন্টের আস্থা অর্জন করো। নিজের ভেতরে দায়িত্ববোধ তৈরি করো।’ আইন পেশা বেতনভুক্ত কোনো চাকরি নয়। মানুষকে সেবা দেওয়ার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে হবে—এটাই এ পেশার মূলমন্ত্র। এই গুণ অর্জন করতে হবে। তাই কিছু মামলা ফ্রি করতে হবে। কিছু মামলা টাকা নিয়ে করতে হবে। বিচারপ্রার্থীদের আস্থা যদি অর্জন করা যায়, তাহলে টাকার অভাব হবে না।
অনেক মামলা আমি নাজমুল হাসান টাকা ছাড়াই লড়েছি। অনেক গরিব মানুষ আসে, যারা বাধ্য হয়ে মামলায় জড়িয়েছে। তাদের অবস্থা দেখে আমার মন কাঁদে। এ কারণে তাদের কাছ থেকে ফি নিতে পারি না। যে যা দেয় তাই রেখে দিই। না দিলেও কিছু বলি না।
আমার এই অবস্থা দেখে সাংবাদিকরা আমাকে ‘গরিবের আইনজীবী’ হিসেবে অভিহিত করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ সেই সকল সাংবাদিক ভাই দেরকে,যারা আমাকে উৎসাহিত করে, আমার কাজকে আমার পেশা কে বেগবান করেছেন।
বিনা টাকায় আইনের পরামর্শ নিনঃ ০১৭১৪-১৬৩২৩৩